শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৪

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর ভাটারা থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা পারাপারকালে সুপ্রভাত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চাপায় গুরুতর আহত মাজেদা বেগম (৪৫)। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাজেদা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত মাজেদার স্বামী আলাউদ্দিন মিয়া জানান, তার স্ত্রী মাজেদা বেগম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের বাসায় ঠিকা কাজ করতো। ভাটারা নুরের চালা এলাকায় তারা বসবাস করেন। গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে।
গতকাল সকাল ৯টায় গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী নাছিমা বেগম (৩৭)। নিহতের সহকর্মী নূর জাহান বলেন, নাছিমা বেগম গুলিস্তানে রাস্তা পরিষ্কার শেষে বাসায় ফিরছিলো। এমন সময় বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত নাছিমা কুমিল্লা জেলার গৌরিপুর উপজেলার শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী।
এছাড়া মিরপুর বেড়িবাঁধ গোরান চটবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় আবদুল খালেক মীর (৪৫) নামে একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল খালেকের গ্রামের বাড়ি বরগুনায়। তিনি মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকায় বসবাস করতেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে বেইলি রোডে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত হন মোস্তাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক পথচারি। নিহতের স্বজনদের দাবি, মেস্তাাফিজুর বিগত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোস্তাফিজুর বেইলি রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিনি জখম হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার পকেটে থাকা মোবাইলফোন দিয়ে স্বজনদের খবর দেয়া হয়।
নিহতের ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার ভাইয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। ১৪ দিন আগে মোস্তাফিজুর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মোস্তাফিজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। সবগুলো ঘটনায় পৃথক পৃথক থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন