বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খাদ্যমন্ত্রীর জামাতা ডা. রাজন কর্মকারের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের স্ত্রীসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। হার্ট ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রাজনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রাজনের পরিবারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দাবিটি আমলে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় সার্বিক বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি, তাই পরীক্ষার জন্য হার্ট ও ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন চিকিৎসকরা। এসব পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজনের মামা সুমন কর্মকার জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজনের লাশ নেয়া হবে বিএসএমএমইউতে। এরপর নোয়াখালী গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হবে।
গত ১৭ মার্চ রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে তার পরিবারের লোকজন স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাজন বিএসএমএমইউর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার বিএসএমএমইউর সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন