স্টাফ রিপোর্টার : নিখোঁজের একদিন পর রাজধানীর খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গা থেকে মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিকিৎসকদের দাবি, মনিরুলকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এবং কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি নিহতের পরিবার। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর থানার চন্দ্রাবতি এলাকায়। বাবার নাম আবদুর রশীদ।
নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, তার ভাই গুলশান ২ এ অবস্থিত শায়হাম টেক্সটাইল মিলের এজিএম ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় রামপুরা থানাধীন চৌধুরীপাড়া ২৬৩/বি হোল্ডিংস্থ বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন মনিরুল। ওই দিন বিকেল ৪টায় অফিসের গাড়ি চালক আবু সাঈদকে নিয়ে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় যান। সেখানে চালককে রাস্তায় রেখে তিনি আশপাশের কোথাও যান। চালককে তিনি সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। এরপর রাত ৮টা পর্যন্ত মনিরুল ফিরে না আসায় চালক তাকে ফোন দেন। কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। চালক বিষয়টি অবহিত করেন মনিরুলের পরিবারের সদস্যদের। রাত ১১টা পর্যন্ত মনিরুল ইসলাম না ফেরায় তার পরিবার সবুজবাগ থানায় ১টি সাধারন ডাইরি করেন।
এরপর গতকাল সকাল ৮টার দিকে খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গা এলাকার একটি মাঠ থেকে মনিরুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খিলগাঁও থানার এসআই আবু জাফর হাওলাদার জানান, মনিরুল ইসলামের লাশটি যখন উদ্ধারকালে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। তাকে খাদ্যের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল মর্গে লাশের ময়না তদন্তকারি চিকিৎসকরা বলেছেন, মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মনিরুলকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্নসহ শ্বাসরোধকালে নাকের হাড় ভেঙ্গে যাবার চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের গাড়ি চালককে আটক করে জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকা-ের কারণ ও ঘাতকদের সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি। নিহত মনিরুল ইসলামের ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন