শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন - পশ্চিমবঙ্গে ফের মমতা

তামিলনাড়–তে মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন জয়ললিতাই, আসামে বিজেপির জয় কেরালায় বামপন্থী ও পন্ডিচেরিতে কংগ্রেস বিজয়ী

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৩ পিএম, ১৯ মে, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পালে হাওয়া লাগলেও ভরাডুবি হয়েছে বিরোধীদল কংগ্রেস ও তার মিত্রদের। লোকসভা নির্বাচনে তিন দশক পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার গঠনের ঠিক দুই বছরের মাথায় এই বিধানসভা নির্বাচনেও পদ্মফুলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে; অন্যদিকে দুটি রাজ্য হারিয়েছে কংগ্রেসের পাঞ্জা। গত ১৫ বছর ধরে কংগ্রেসের শাসন করে আসা আসাম এবার গেছে বিজেপির ঘরে। ১২৬ আসনের বিধান সভায় ৮৬টিতে জিতেছে পদ্মফুলের প্রার্থীরা। আর কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২৪টিতে, খুইয়েছেন ৫৪টি আসন। তরুণ গগৈ-এর জায়গায় এবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল নেতাদের নাম আসার বিপরীতে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটে অনেকে ক্ষমতা বদলের কথা বললেও বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। আরও বেশি আসন নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯৪ আসনের বিধান সভায় এবার তৃণমূল প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ২১৪টিতে, যা গতবারের চেয়ে ৩০টি বেশি। বিরোধী কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটের ঘরে উঠেছে ৭৪ আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেস মাত্র দুটি আসন হারালেও তাদের জোটসঙ্গী বামফ্রন্টের গেছে অর্ধেকের একটি বেশি ৩১টি।
পাঁচ বছর আগে তিন দশকের বেশি সময়ের শাসক বামফ্রন্টকে হটিয়ে মমতার উত্থানের এই রাজ্যে অবস্থান কিছুটা জোরালো হয়েছে বিজেপির; তিনটির জায়গায় এবার ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছেন তাদের প্রার্থীরা। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর মমতা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি সব সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তারা মাঠে ছিল না, আমিই ছিলাম।’
মমতার মতো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন আরেক ‘শক্তিশালী’ নারী জয়ললিতা। তামিলনাড়ুর ২৩৪ আসনের মধ্যে দুটি বাদে বাকিগুলোর ফল ঘোষণা হয়েছে, যেখানে জয়ললিতার দল এডিএমকে ১৩২টিতে জয়ী হয়েছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডিএমকে পেয়েছে ৯৯টি আসন। তামিলনাড়ুকে ‘১ নম্বর রাজ্য’ করার প্রত্যয় জানিয়ে জয়ললিতা বলেছেন, এই নির্বাচন ডিএমকে পরিবারের রাজনীতির ইতি টেনেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হলেও কেরালায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বামপন্থীরা। ১৪০ আসনের বিধানসভায় ৯১টিতে জিতেছে বাম-গণতান্ত্রিক জোট এলডিএফ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) পেয়েছে ৪৭টি আসন। এলডিএফের ঘরে নতুর করে ২৪টি এলেও ইউডিএফ জোট খুইয়েছে ২৩টি আসন।
এই রাজ্যের বিধানসভায় এর আগে কখনও বিজেপির উপস্থিতি না থাকলেও এবার একটি আসন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল। কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনেছে কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরি। এখানকার ৩০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে এগিয়ে রয়েছে তারা।
ভোটে বিজেপির সমর্থন বৃদ্ধিকে মোদীর গত দুই বছরের কর্মকা-ের প্রতি জনগণের ‘সায়’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রধান অমিত শাহ। অপরদিকে এক টুইটে বিনয়ের সঙ্গে জনগণের রায় মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
মমতাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী দলটির প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় মততা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, আপনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মত তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি ব্যক্তিগতভাবে আনন্দ বোধ করছি। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের জন্য নিরন্তর সংগ্রামের যে নীতি আপনি গ্রহণ করে এগিয়ে গেছেন এ নির্বাচনে তার স্বীকৃতি পেলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় আরো বলেন, শক্তিশালী ঐতিহাসিক বন্ধন, ভাষার সাদৃশ্য, সাংস্কৃতিক-মূল্যবোধ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে করেছে আপন। এ সম্পর্কের জোরেই আগামীর দিনগুলো হবে আরো শক্তিশালী। এ বিশাল জয়ের শুভেচ্ছা গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করুন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সুমন শাহা ২০ মে, ২০১৬, ১১:১৪ এএম says : 0
অভিনন্দন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন