রাজশাহী ব্যুরো : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে কোনো হত্যাকা- ঘটলে সরকার তাদের ব্যর্থতা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপিসহ ২০ দলের ঘাড়ে দোষ চাপায়। তিনি বলেন, আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য দেশব্যাপী যে ভয়ঙ্কর অরাজকতা বিরাজ করছে এটা বিভ্রান্ত করার জন্য এই ধরনের পরিস্থিতিগুলো উদ্ভব হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিহত রাবি শিক্ষক প্রফেসর ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পরিবারকে সমবেদনা জানানো শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমনটি বলেন।
তিনি বলেন, এ সরকারের সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। জঙ্গিরা যেমন যে মতাদর্শে বিশ্বাস করে, তা ছাড়া অন্য মতাদর্শকে বরদাস্ত করে না, তাদের হত্যা করে; রক্তপাত ঘটায়। এই সরকারও তেমনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, গণতন্ত্রের ন্যূনতম নিয়মকে মানে না; সরকারের সমালোচনা সহ্য করে না; বিরোধী সহ্য করতে পারে না। বিচার বর্হিভূত হত্যা, গুপ্তহত্যা, গুম ও খুনই হচ্ছে এই সরকারের শাসন পরিচালনার অন্যতম শর্ত। আজকে চারদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, নৈরাজ্য ও অন্ধকারের মধ্যে দেশ নিপতিত হয়েছে। এখান চারদিকে হত্যা এবং রক্তপাত। এটাই এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই।
রুহুল কবির রিজভী রেজাউল হত্যার প্রকৃত খুনীদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়ে বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত ও জনদৃষ্টিকে ধোঁয়াশার মধ্যে না ফেলে, প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি এসেছি, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহমর্মিতা ও শোকবার্তা নিয়ে। এ ঘটনার পর পরই যদি দলের পক্ষ থেকে শোকবাণী দেওয়া হয়েছে। তারপরও ঢাকা থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের জীবন এভাবে চলে যাবে- এটা কখনো কাম্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের বেশি সেক্যুলার দাবি করে, ধর্মনিরপক্ষ দাবি করে কিন্তু এদের সময় সবচেয়ে বেশি ধর্মের উপর আঘাত করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, নিহত রেজাউল করিমের স্ত্রী হোসনে আরা, মেয়ে রিজওয়ান হাসিন শতভিসহ অন্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন