যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও ভেনিজুয়েলায় পৌঁছে গেছে রুশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল একটি দল। ইতিমধ্যে এটি নিশ্চিত করেছে দুই দেশই। বৃহস্পতিবার ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রুশ সেনারা পৌঁছালেও এখনো সামরিক কোনো অভিযানে তারা অংশ নিচ্ছে না। এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ভেনিজুয়েলা সরকারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাদের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
গত শনিবার রাজধানী কারাকাসের কাছেই একটি বিমানবন্দরে রুশ বিমান বাহিনীর দুটি বিমান অবতরণ করে। সেখানে ১০০ রুশ সেনা ছিল। তবে রাশিয়া সেনা পাঠানোকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বীকার করতে নারাজ।
দেশটি জানিয়েছে, রুশ সেনারা শুধু ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে সেখানে গেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বৃহস্পতিবার তার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়া লাতিন আমেরিকার ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমরা কাউকে হুমকি দিচ্ছি না। রুশ সেনারা পূর্ব নির্ধারিত আলোচনার জন্যেই ভেনিজুয়েলায় অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলার চলমান রাজনৈতিক সংকটে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে অনবরত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া ও চীন। অপরদিকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডোকে সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচনে সমাজতন্ত্রী নিকোলাস মাদুরো বড় ব্যবধানে জয় লাভ করলেও সে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করে নিজেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন হুয়ান গাইডো।
এদিকে, ভেনিজুয়েলায় সেনা পাঠানোয় রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে সাবধান করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাদের সামনে এখনো সেনা ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছে, রাশিয়া যে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে তারা স্পেশাল ফোর্স ও সাইবার নিরাপত্তা সদস্য। ভেনিজুয়েলার শুধু সেনাশক্তি ছাড়া আর কিছুই নেই বলেও মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির কঠিন জবাবও দিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি টুইটারে বলেন, একটা রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রকে কে দিয়েছে! এটি শুধু ভেনিজুয়েলার মানুষ ও তাদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর হাতেই রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন