উমর ফারুক আলহাদী : দ্বীন ইসলাম। ২৫ বছরের টগবগে এক যুবক। গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পর মা পেলেন ছেলের লাশ। দ্বীন নরসিংদী জেলা শহরের ভেলানগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। দ্বীন ইসলাম ব্রাহ্মন্দী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে টিফিন সরবরাহ করে তার পরিবারে ব্যয়ভার বহন করত। তার মা সাবিয়া বেগম জানিয়েছেন, ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে ধরে নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাশ পাওয়া গেল হাসপাতালে। সাবিয়া বেগম বলেন, প্রতিদিন তার ছেলে টিফিন স্কুলে পৌঁছে দেয়। সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। মা সাবিয়া বেগমের অভিযোগ, মোটা অংকের টাকা না দেয়ায় ডিবি পরিচয়ে যারা ধরে নিয়েছিল তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়ার ১২ দিন পর পাওয়া গেলে কলেজ ছাত্র সোহানের গুলিবিদ্ধ লাশ। গত মঙ্গলবার তার লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে গত মাসে জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে আবুজার গিফারী নামের এক কলেজ ছাত্রকে ডিবি পরিচয়ে তোলে নোয়ার পর পাওয়া গেল তার লাশ। এভাবে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে একের পর এক আটকের ঘটনা ঘটছে। তারপর গুম হচ্ছে অথবা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সাদা পোশাকে গ্রেফতারের বিষয়ে উচ্চ আদালতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটি ভয়ানক ঘটনা বলেও উচ্চ আদালত মন্তব্য করেছেন।
মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা বলছেন, থেমে নেই সাদা পোশাকে গ্রেফতার। আদালতের নির্দেশনা, মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদ কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও থেকে ডিবি পুলিশ কিংবা র্যাবের পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে কাউকে না কাউকে ধরে নেয়া হচ্ছে। তোলে নেয়ার পর মিলছে লাশ। কেউবা হচ্ছে গুম। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ডিবি পরিচয় দিয়ে তোলে নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা ও ডিবি অফিসে গিয়ে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। বরাবরই ডিবি, র্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার বা আটকের কথা অস্বীকার করে আসছে। অথচ গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া সাদা পোশাকে ধরে নেযার ঘটনা অহরহ ঘটছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশ বা ডিবি সাদা পোশাকে কাউকে আটক করেনি। এখন অপহরণকারীরা তাদের কৌশল পাল্টিয়েছে। ডিবি পরিচয় দিয়ে কাউকে ধরে নেয়া অপরাধীদের একটি কৌশল। এধরনের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ডিবি, র্যাব কিংবা পুলিশের কিছু সদস্য অনেক ক্ষেত্রে আইন মানেন না। সাদা পোশাকে যখন তখন যাকে খুশী ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর মিলছে লাশ। এটা ভয়াবহ অপরাধ এবং মানবাধিকার লংঘন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কাউকে ধরে নেয়া আইনের লংঘন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, সাদা পোশাকে কাউকে ধরে নেয়া যাবে না। অথচ এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এজন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-।
গত ১২ মে সাদা মাইক্রোবাসে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় খালিশপুরের বয়রা সিএসবি গোডাউনের নিরাপত্তা কর্মী মাকসুদুর রহমানের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮) এবং হরিণটানার থানা এলাকার বিসমিল্লাহ নগর মাদরাসার এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল সায়েম তুর্য (২৫) ও একই মাদ্রাসার শিক্ষক সোয়াইবুর রহমান (২৬)-কে। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহেও সন্ধান মেলেনি। ফলে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার-পরিজন। তবে এর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। এমন ঘটনায় শুধু নিখোঁজদের পরিবার নয়; আতঙ্কিত পুরো মহানগরবাসীও। ইতোমধ্যে তাদের খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরেরও জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে খুলনার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় সাদা পোশাকধারী একদল সশস্ত্র লোক বাড়ী গিয়ে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দ্বীন ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ছেলের লাশ পায় সাবিয়া বেগম। পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, নিহত দ্বীন ইসলাম একজন বড় ধরনের অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি অপরাধের ঘটনায় তার জড়িত থাকার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে সে মারা যায়।
কালীগঞ্জ ঈশ্বরবা জামতলা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের পান্নাতলা মাঠে সোহানের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। সোহান ঈশ্বরবা গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ও স্থানীয় শহিদ নূর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ সোহানের হত্যার স্থানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ঝিনাইদহের যুবদল নেতা মেরাজুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে ছিল। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া কলেজ ছাত্র সোহানুর রহমান সোহানকে। সোহানের মা পারভিনা খাতুন জানান, গত ১০ এপ্রিল, বিকাল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ নুর আলী কলেজের ছাত্র সোহান ঈশ্বরবা জামতলা নামক স্থানে অপেক্ষা করছিল। এ সময় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চারজন লোক ইজিবাইকে করে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না।
এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে (২০১৩-১৫) সারা দেশে ১৮৮ জন অপহরণের পর নিখোঁজ হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। বাকি ১১৫ জনের হদিস নেই। সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে; যাদের কাউকে আটকের কথাই স্বীকার করেনি প্রশাসন।
র্যাবের সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯৬টি অভিযান চালিয়ে ১৫৪ অপহৃতকে উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় গ্রেফতার করা হয় ১১০ জনকে। অপহরণের ১৪০টি মামলা নিয়ে কাজ করেছে র্যাব। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অপহরণ এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা প্রশাসন যে হিসাব দিচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি। বছরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ অপহরণের শিকার হচ্ছে, যাদের অনেকেই পরে আর উদ্ধার হয়নি। বছরের পর বছর নিখোঁজ তারা।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে চার হাজার ৩৯৭টি অপহরণের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ৮০৬, ২০১৪ সালে ৯২০, ২০১৩ সালে ৮৭৯ এবং ২০১২ সালে ৮০৬টি মামলা হয়েছে। চলতি বছরের তিন মাসে অপহরণের মামলা হয়েছে ১৯১টি, যার মধ্যে মার্চে ৬৯, ফেব্রুয়ারিতে ৫৬ এবং জানুয়ারিতে ৬৬টি।
গত ১৮ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারীকে (২২) জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসার সামনে থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে চার ব্যক্তি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। একই দিনে দুপুরের পর শিবিরের নেতা কেসি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামীমকে (২০) কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশ থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাক পরিহিত চার ব্যক্তি। ঘটনার প্রায় চার সপ্তাহ পর গত ১৪ এপ্রিল যশোরের বিরামপুর শ্মশান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাদের গুলিবিদ্ধ দুটি লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহত আবুজর গিফারীর চাচাতো ভাই পাননু মিয়া ও শামিমের ভাই তাজনিম হুসাইন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি আবুজার ও শামিমের বলে শনাক্ত করেন।
গত কয়েকদিন আগে ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকে ভয়াবহ অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা অনুযায়ী আটক ও রিমান্ডের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল শুনানি চলাকালে গত ১৭ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচরাপতি এস কে সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের উদ্দেশে বলেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও আপনারা একটি নির্দেশনাও (সরকার) প্রতিপালন করেননি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি একটি কলোনিয়াল (ঔপনিবেশিক) আইন। ১৯৭০ সালে মালয়েশিয়া এই আইনের সংশোধনী এনেছে। মালয়েশিয়াকে অনুসরণ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও তাদের ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করেছে। কিন্তু আমরা এখনো এটি করতে পারছি না।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যথাযথ চিন্তা-ভাবনা না করেই আইন প্রণয়ন না করার কারণেই বিচার বিভাগের ওপর মামলার চাপ আছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমাকে বলেছে, বঙ্গবন্ধুর বডিগার্ডের দায়িত্ব পালনকারী এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করেই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করছে, এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা আছে, আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না। কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃতকে এর কারণ জানাতে হবে। বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেফতারকৃতর নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে। গ্রেফতারকৃতকে তার পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের অভ্যন্তরে কাচ নির্মিত বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন। জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবেন। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তাকে দ-বিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন