কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ রাজধানীর পুরান ঢাকার একজন পাইকারি ওষুধ ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ লাখ ৯০ হাজারটি হাইসোমাইড (১০ মিলি) সরবরাহের ঠিকাদারি পান স¤প্রতি। দরপত্র অনুযায়ী প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ধরা হয় ৩ টাকা ৪৩ পয়সা। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে হঠাৎ ওষুধটির দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। এতে প্রায় ৯ লাখ টাকা মতো লোকসান গুনতে হবে ওই ব্যবসায়ীকে। হঠাৎ ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারাও। গত সপ্তাহেও ৯০ টাকায় ৩০টি মেটফরমিন ট্যাবলেট (৫০০ মিলি) কেনেন পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা মহসিন আলী। গত বুধবার দোকানে গিয়ে দেখেন, এ ওষুধ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে ওষুধের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে হতবাক হয়ে যান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এ রোগী। শুধু ডায়াবেটিস নয়; অ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিক, অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, মৃগীসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ৫০টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে হঠাৎ করে দেশের নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলো ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে ওষুধ কোম্পানীগুলো বলছে, কাঁচামাল, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম, সর্বোপরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে দুই-একটি কোম্পানি বাজারে বহুল প্রচলিত কয়েকটি ওষুধের দাম বাড়ায়। পরে তাদের অনুসরণ করে অন্যান্য কোম্পানি দাম বাড়াতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এ কৌশলই অনুসরণ করে আসছে ওষুধ কোম্পানীগুলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন