শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আগুনে ১২শ’ শ্রমিকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) সুতার কারখানা আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেডে গত সোমবার রাতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট রাতভর চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কুমিল্লা ইপিজেডের পরিচালনাধীন বেপজা কর্তৃপক্ষ জানান, আগুনে আরএন স্পিনিং মিলের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। কুমিল্লা ইপিজেডের আরএন স্পিনিং মিলের আগুন ১০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও সুতা ও তুলার ভেতরের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। এই আগুনে পুড়েছে কর্মরত ১২শ’ শ্রমিকের স্বপ্ন। শ্রমিকরা পুড়ে যাওয়া কারখানার চারপাশে ভিড় করছেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় আগুনের সূত্রপাত হয়ে পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, স্টিলের অবকাঠামো দিয়ে তৈরি ওই স্পিনিং মিলে প্রচুর পরিমাণ সুতা ও তুলা থাকায় কম সময়েই আগুন পুরো কারাখানায় ছড়িয়ে পড়ে।
কারখানার দ্বিতীয় শিফটের কর্মচারীদের কাজ শেষ হওয়ায় তৃতীয় শিফটের কর্মচারীরা কাজে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মুর্হূতের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিস, কুমিল্লা, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ১০টি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। অগ্নিনির্বাপণের কাজ তদারকি করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানার মেশিন পুড়ে গেছে, সুতা পুড়ছে। স্থাপনার দেয়াল ধসে পড়েছে। স্টিলের তৈরি স্থাপনা আগুনে পুড়ে গেছে। ইপিজেডের ১০০ থেকে ১০৭ এবং ১২৭ থেকে ১৩৪ প্লট নিয়ে আর এন স্পিনিং মিল। কারখানার মেশিনারিজ ও সুতা পুড়ে গেছে।
আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শহীদুল হক বলেন, কারখানার মূল্যবান সব মেশিনই পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ১৬টি বøকের কারখানায় শর্টসার্কিট ছাড়া আগুন লাগার কোনো সুযোগ নেই।
কুমিল্লা ইপিজেডের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক শিবু রঞ্জন দাস বলেন, এই কারখানায় তুলা থেকে সুতা বানানো হয়। ২০০৬-০৭ সালের দিকে এই কারখানা প্রায় আট একর জায়গা নিয়ে ১৬টি প্লটের ওপর নির্মিত হয়। কুমিল্লা ইপিজেডের ৪৭টি দেশি ও বিদেশি কারখানার মধ্যে আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেডে দেশিয় একটি কারখানা। কারখানার মালিক বরিশালের আবদুল কাদের ফারুক বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। এখানে ১ হাজার ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
ফায়ার সার্ভিসের কুমিল্লা শাখার সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, কারখানায় তুলা ও সুতা থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে পানির অভাব থাকায় বিকল্প পথে পানি আনতে হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন