স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদীর শীলমান্দী এলাকায় ‘মনটেক্স-১ ডাইং ফ্যাক্টরি’ নামে একটি কারখানায় এক ভয়াবহ অগ্নিকা- সংঘটিত হয়েছে। পাকিজা গ্রুপের মালিকানাধীন এই কারখানায় অগ্নিকা-ের সময় মিলে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিক আশিক আলী (৪০), শ্রমিক রমজান মিয়া (৩২) ও বাবুর্চি সেলিম মিয়া (৩০) পুড়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন শ্রমিক।
জানা গেছে, মনটেক্স-১ ডাইং ফ্যাক্টরির গোডাউনে কাপড় রং করার প্রচুর সংখ্যক রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ ছিল। হঠাৎ কোনো অজানা কারণে মজুদকৃত এই দ্রব্যসমূহে রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে বিস্ফোরণ ঘটে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। এ সময় চারদিকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে মিলে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিক আশিক আলী, শ্রমিক রমজান মিয়া ও বাবুর্চি সেলিম মিয়া মিলের ভিতর আটকা পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অন্যান্যরা তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়। সকাল ৭ টায় খবর পেয়ে নরসিংদী ও ঢাকা থেকে দমকল বাহিনীর ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই অগ্নিকা-ের ফলে ফ্যাক্টরির ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ মালামাল ভষ্মীভূত হয়েছে তা নিরুপণ করতে পারেনি অগ্নিনির্বাপক বাহিনী।
এদিকে, স্থানীয় পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ এস আই মহসিন সাংবাদিকদের জানান, নিহত তিন জনের মধ্যে আশিক আলী পাকিস্তানি নাগরিক। নিহত শ্রমিক রমজান মিয়ার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। নিহত বাবুর্চির সেলিম মিয়ার বাড়ি নরসিংদী এলাকায় বলে জানা গেছে। নিহতরা সকলেই গোডাউনে আটকা পড়ে আগুনে পুড়ে মারা যায়।
এদিকে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে. কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, নরসিংদীর ডিসি আবু হেনা মোরশেদ জামান, পুলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন