শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সংরক্ষণে গেজেট প্রকাশের পরও নামফলক স্থাপনে প্রততত্ত্ব অফিসের গড়িমসি

বগুড়ার নবাববাড়ী থেকে পাচার হচ্ছে প্রতœসামগ্রী

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার ঐতিহাসিক নবাববাড়ীটি সরকারিভাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত আইনে পরিণত হয়ে গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সুরক্ষায় কেন গড়িমসি করা হচ্ছে তা’ নিয়ে জনমনে  ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেটের কপি বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের বগুড়াস্থ বিভাগীয় অফিসে পৌঁছলেও রহস্যজনক কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশের পর দু’সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর নবাববাড়ীর ফটকে ‘‘জায়গাটি যে সরকারিভাবে সংরক্ষিত’’ এ সংক্রান্তফলক স্থাপনে কালক্ষেপণ করায় প্রভাবশালী ক্রেতাদের প্রভাবের কারণেই ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটি সরকারি হেফাজতে নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে মনে করছে বগুড়ার মানুষ। পাচার হয়ে যাচ্ছে এই সুযোগে নবাব বাড়ী ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে গোপনে মূল্যবান প্রতœতত্ত্ব সামগ্রী বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিতে প্রস্তরফলক স্থাপনের দায়িত্ব প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের। তারা পদক্ষেপ নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। একই বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অফিসের বগুড়া অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা জানান , সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য তারা অধিদফতরের ডিজির নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে একই বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের ডিজি আলতাফ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং তারা এব্যাপারে পূর্ণ আন্তরিক ও সজাগ রয়েছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণে বগুড়ার নবাব প্যালেসের অভ্যন্তর ভাগ থেকে গোপনে পাচার হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান প্রতœসামগ্রী। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে মোট ৯টি মূল্যবান প্রতœসামগ্রী পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া এই প্রতœসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, শ্বেত পাথরের গরু, ১টি লৌহ নির্মিত প্রাচীন মূর্তি, ১টি বড় মাপের ফ্রেমসহ তামার পাত্র, ১টি রাজকীয় পানের বাটা, কাঁসার তৈরী ৫টি ফুলের টব, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের আঁকা ১টি তৈলচিত্রসহ ৫টি তৈলচিত্র, ব্রিটিশ আমলের ২টি বড় আলমারিসহ আরেকটি পকেট ঘড়ি’।
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বগুড়ার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী এবং বগুড়ার ঐতিহ্য ও স্থাপনা রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এই ধরনের আশংকা থেকেই তিনি বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। তার পরও যদি প্রতœসামগ্রী পাচার হয় সে দায় ও তা’ উদ্ধারের দায়িত্ব প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরকেই নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন