ইনকিলাব ডেস্ক : বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য প্রদানের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ১৬তম দোহা ফোরামের সম্মেলন। সম্মেলনে বিশ্বের নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরপত্তা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন’সহ দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, মরিশাস এবং নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি তার নিজ দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় সেখানে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি উপস্থিত ছিলেন। কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলরহমান আল-থানি তার বক্তব্যে মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন এবং বিশ্বের নিরপত্তা, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনে নির্যাতন, প্রজাপীড়নমূলক শাসন, ডাবল স্টান্ডর্ড নীতি এবং মৌলিক স্বাধীনতা হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কর্মকা- মানবিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসরাইলের ফিলিস্তিনি ভূখ- জবরদখলের পরিসমাপ্তির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। ইসরাইলি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনি ভূমি ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এবারের দোহা ফোরামে প্রদত্ত কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলরহমান আল-থানির বক্তব্যকে দেশটির পররাষ্ট্রনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। একই সাথে তিনি এটাও পরিষ্কার করে বলেছেন যে তার দেশ কাতার প্রধানত উদার পররাষ্ট্রনীতির অনুসারী। যে কারণে কাতার বিশ্বের যেকোনো সংঘাত নিরসনে শক্তি প্রয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। কাতারের বর্তমান আমির শেখ তামিম ২০১৩ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের গতি সূচিত হয়। আল জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন