কর্পোরেট রিপোর্টার : শেয়ারবাজারে আসছে না বিদেশি কোম্পানি। দেশে কয়েকশ বিদেশি কোম্পানি মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। এই মুনাফার কোনো অংশই পাচ্ছে না দেশের মানুষ। জানা যায়, গত ছয় দশকে পুঁজিবাজারে মাত্র ১৩ বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। পুঁজিবাজারে আসতে আইনি বাধ্যবাধকতা কিংবা কোনো আইন না থাকায় গাছাড়া ভাব দেখিয়ে বাজারে আসছে না কোম্পানিগুলো। তবে বাজারে থাকা বিদেশি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় ভালোই আছে বিনিয়োগকারীরা। বছরের শেষ কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিগুলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাজারে আছে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, বাটা সু, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, গøাক্সোস্মিথ, সিঙ্গার বিডি, ফুওয়াং সিরামিক, ফুওয়াং ফুড ও বার্জার পেইন্টস। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে তিন শতাধিক নিবন্ধিত বিদেশি (বহুজাতিক ও যৌথ মূলধনী) কোম্পানি রয়েছে। আইন অনুযায়ী দেশীয় কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা অতিক্রম করলেই এক বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশের তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসতে হয়। এই সময়ে না এলে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে ছয় মাস সময় বাড়াতে পারে। তালিকাভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক হাজার টাকা হারে জরিমানা দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত না থাকা, বাজারের স্থিতিশীলতা ও অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে বিমুখ রয়েছে বিদেশি কোম্পানিগুলো। এখন বাজারে থাকা কোম্পানিগুলো ভালো করছে। বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছে। বিদেশি আরও কোম্পানি এলে গতিশীল হবে বাজার। কিন্তু সেই অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানিকে বাজারে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন