আহমদ আতিক : জাপানে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সামিটের আউট রিচ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৩ দিনের সফরে জাপান যাচ্ছেন। আগামী ২৬ থেকে ২৮ মে জাপানের ইসে-সিমা-তে অনুষ্ঠিত জি-৭ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার এটি একটি দুর্লভ সুযোগ। কেননা এ বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সন্ত্রাস দমন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সব ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। সেইসাথে বাংলাদেশে জাপানের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েও এ সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এবারের সফরটিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ইসে-সিমা-তে অনুষ্ঠিত সামিটে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে সহযোগিতাসংশ্লিষ্ট চারটি মৌলিক বিষয়ে আলোচনায় নেতৃত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেইসাথে জি-সেভেন সামিটে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়াকেও বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ব নেতৃত্বের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। ২৮ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এবারের জি-৭-এর মিটিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন। ৮ বছরের মধ্যে এশিয়ায় জি-৭-এর এটি প্রথম বৈঠক। জাপানের ঘোষণা মতে, এবারের আউটরিচ অধিবেশনে এশিয়ার স্বল্পোন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, লাউস, পাপুয়া নিউগিনির রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আমন্ত্রিত হয়েছেন। এছাড়া আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র জি-৭ জোটের সদস্য। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, বহুপক্ষীয় ওই আয়োজনের আলোচনায় নিরাপত্তা, উদ্বাস্তু, সাইবার ইস্যু, মহাকাশ বিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, নারী ও সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স, শান্তিরক্ষা, দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। সম্মেলনের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত যে কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের আলোচনা হতে পারে। সে মতেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ইসে-সিমা-তে অনুষ্ঠিত সামিটে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট চারটি মৌলিক বিষয়ে আলোচনায় নেতৃত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া জাপানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী টোকিওতে বাংলাদেশের দূতাবাসের নিজস্ব চ্যান্সারি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে। ২৯ মে জাপানি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও চলমান বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এ সফরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে। ৩০ মে রাতে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
সুত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত অ্যাডভান্স টিমের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই টোকিওতে পৌঁছে গেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী জাপান গিয়েছিলেন। তার সফরের ফিরতি সফর হিসেবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এরই মধ্যে ঢাকা সফর করেছেন। চলতি মেয়াদে জাপানে এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। সব মিলিয়ে চতুর্থ সফর। এর আগে ১৯৯৭ ও ২০১০ সালে তিনি জাপান সফর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি হতে পারে বলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া এ সফরে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর নামে নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণেও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সিরো সাডোসিমা গত ২৬ এপ্রিল সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হবে। প্রকল্পটিতে জাপানের অর্থায়ন নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর জাইকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশেদ খান মেনন। এরপরই গত ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রীকে দেয়া এক চিঠিতে শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহের কথা জানান জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাইদা। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের ব্যায় ১১ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ২০১৪ সালের মে মাসের জাপান সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা ইশতেহার অনুযায়ী, নিয়মিত উন্নয়ন সহায়তার বাইরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশকে ৬শ’ বিলিয়ন ইয়েন (৫৯০ কোটি ডলার) সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করে। এই অর্থ কোনো দেশের কাছ থেকে পাওয়া বাংলাদেশের একক বৃহত্তম সহায়তা। এর আগে একক বৃহত্তম সহায়তার রেকর্ড হচ্ছে ভারতের একশ’ কোটি ডলার। শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বাস্তবায়ন এবং এর প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করায় বাংলাদেশকে সহায়তাদানের জন্য ‘বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’ (বিওআইজি-বি) গঠনের প্রস্তাব করে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণকে পাশ কাটিয়ে জাপান সফর করেন। এর মধ্যেই বাংলাদেশের কাছে জাপানের গুরুত্ব ফুটে ওঠে।
ওই সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছিলেন, এ সফরের মাধ্যমে জাপান বাংলাদেশকে আগামী ৫ বছরে ৪৬ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেবে। গঙ্গা ব্যারেজ, যমুনা নদীর নিচে বহুমুখী টানেল, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে রেল সেতু নির্মাণ, ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস এবং ঢাকার চারটি নদী পুনরুদ্ধারসহ কয়েকটি বড় প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। মন্ত্রী বলেন, শুধু অনুদান নয়, জাপান ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। সুদ মাত্র দশমিক ০১ শতাংশ। চট্টগ্রাম ইপিজেডে জাপানের বিনোয়োগকারীদের জন্য জায়াগা দেয়া হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ভাষ্য অনুযায়ী ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ৬১টি জাপানি কোম্পানির বিনিয়োগ ছিল। বর্তমানে তা ১৭৬টিতে দাঁড়িয়েছে। আরও কুড়িটি কোম্পানি বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অসম বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। জাপানের সঙ্গে এ অসম বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা চলছে। জাপান প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যবসা করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর জাপানে মাত্র ৮৩০ মিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য রফতানি করা হয়।
তবে জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের ষষ্ঠ স্থানে থাকা বিদেশী বিনিয়োগকারী দেশ। বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত এই বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে ১ হাজার ২০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) জাপান হচ্ছে তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। এই বিনিয়োগের পরিমাণ ১৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পর প্রথম যে কয়টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে, জাপান তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে জাপান ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল জাপান সরকার। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য জাপান সহায়তা দিয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় সহায়তা দানকারী দেশগুলোর মধ্যে জাপান সর্বোচ্চ দাতা দেশ। জাপানের সহায়তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ যমুনা সেতু। যমুনা সেতু ১০০ টাকার নোটে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে, জ্বালানী খাতসহ অন্য যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে জাপান সহযোগিতা জোরদার করার আশা রাখে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টার ঝটিকা সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বলেন, জাপান বাংলাদেশের মানুষের পাশে বন্ধু হিসেবে থাকতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে চায়। দুই দেশ মিলে সুখী-সমৃদ্ধ ধরণী গড়তে চায়।
শিনজো আবে তার ঢাকা সফরে দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে ‘অংশীদারিত্বমূলক’ উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত মে মাসের জাপান সফরে দুই দেশের বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক অংশীদারিত্বমূলক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই সার্বিক অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। কেননা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপান অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ঐতিহাসিকভাবে, বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক পারস্পরিক সমঝোতা, উষ্ণ বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দ্বারা বৈশিষ্ট্যম-িত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাপান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এক সময় দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন এ সম্পর্কের মাত্রার গুণগত পরিবর্তন এসেছে। জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন আর দাতা-গ্রহীতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চায়না প্লাস ওয়ান নীতি গ্রহণ করার পর উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপান দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম সবার আগে তালিকায় রেখেছে। জাপানের কমবেশি ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন