শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন-সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য

প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য’-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রণীত শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধ ও দেশাত্ববোধক মুসলিম লেখকদের লিখনীসমূহ বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদীদের ধর্মবিদ্বেষী এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী লেখাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান পাঠ্যসূচিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বইয়ে গদ্য ও পদ্যের সংখ্যা ১৯৩টি। এসব গদ্য ও পদ্যের মধ্যে হিন্দু লেখক ৮১ জন, বিতর্কিত লেখক ৫৬ জন, শতকরা হিসাবে হিন্দু ও বিতর্কিত লেখা প্রায় ৭১ শতাংশ এবং মুসলিম লেখকদের লেখা মাত্র ২৯ শতাংশ; যা খুবই ভয়ঙ্কর ও দুঃখজনক পরিসংখ্যান। ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল ও বিতর্কিত সেক্যুলার পাঠ্যসূচি সংশোধন করে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় আমরা ইসলামী ছাত্র ঐক্য কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। গতকাল (মঙ্গলবার) বেলা ৩টায় সমমনা ইসলামী ছাত্র সংগঠনসমূহের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুখপাত্র মুহা: নাছির উদ্দিন খান।
হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র ঐক্য ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে ২৫-২৫ মে থেকে ১৫ জুন দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, ২৬ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ৩০ মে জাতীয় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের সাথে মতবিনিময়, ২ জুন সিলেট বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ। পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ করা হবে এবং ৩ জুন বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ৫ দফা হচ্ছেÑ শিক্ষানীতি ২০১০ এবং তা বাস্তবায়নে প্রণীত শিক্ষাআইন ২০১৬-এর খসড়া অনতিবিলম্বে বাতিল করা, প্রাক-প্রাথমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কার্যক্রমে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষাবিদ এবং ইসলামিক স্কলারগণের সঙ্গে পরামর্শ করা, পাঠ্যসূচি থেকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সকল গল্প, প্রবন্ধ ও কবিতা বাদ দেয়া, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম ঐতিহ্য ও ভাবধারার কবি-সাহিত্যিকদের গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্যবৃন্দ (সভাপতিগণ)। তারা হলেনÑ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নূরুল ইসলাম আল-আমীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার মুহাম্মদ আব্দুল কাদীর ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের হাফেজ মুহাম্মদ আল-আমীন।
সেক্রেটারিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেনারেল সেক্রেটারি শেখ ফজলুল করীম মারুফ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবুল হাশিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন