স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : নির্বাচনী প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের জন্য এমদাদুল হক এবাদুল্লাহ (৩৮) নামে নিজ ভোটকর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে এক মেম্বার পদপ্রার্থী। গত সোমবার গভীর রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচর গ্রামে এই হত্যাকা-টি সংঘটিত হয়েছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাদুয়ারচর গ্রামে এবছর ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেম্বার আলতাফ হোসেন। তার মার্কা ফুটবল। একই গ্রামের তৈয়বুর রহমান নামে একজন প্রাক্তন সেনা সার্জনও এই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করছেন। তার মার্কা টিউবওয়েল। পক্ষান্তরে বর্তমান মেম্বার আলতাফ হোসেন ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। চলতি নির্বাচনী প্রচারণায় তৈয়বুর রহমানের জয়জয়কার রব উঠলে আলতাফ হোসেন তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠে। গত সোমবার রাতে আলতাফ হোসেনের একনিষ্ঠ ভোটকর্মী এবাদুল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু একই দিন রাত ১২টায় আলতাফ হোসেনের ভাই গোলাপ হোসেন রহস্যজনক কারণে এবাদুল্লাহকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সারারাত আর সে বাড়ি ফেরেনি। সকালে স্থানীয় মেন্দা নদীর তীরে এবাদুল্লাহর গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে তার ভাই অলি, তার স্ত্রী সুমি আক্তার ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এবাদুল্লাহর লাশ শনাক্ত করেন। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে নদীর পাড়ে শত শত মানুষ জমা হয়। সাথে যায় গোলাপ হোসেনও। এসময় এবাদুল্লাহর ছোট ভাই অলি তাকে জিজ্ঞাস করে গতরাতে আপনি তাকে ডেকে নিয়ে গেলেন তাকে মারল কে। এতে সে ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলতে থাকে আমি একা ডেকে আনিনি। আমার ভাই আলতাফ হোসেনও সাথে ছিল। একথা বলে সে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহত এবাদুল্লাহর লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এবাদুল্লাহর ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন