‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচ‚ড়ার মঞ্জরি’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এনেছেন গুলমোহর বা কৃষ্ণচ‚ড়াকে।
শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের পথে-প্রান্তরেরও শোভা বর্ধন করে যাচ্ছে। গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে তখন প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দেয়। কৃষ্ণচ‚ড়ার এই অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠছে ভাবুক মন।
রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচ‚ড়ার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য গ্রামের সবুজ প্রান্তর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ও বাড়ির আঙ্গিনা ছাড়িয়ে রাঙিয়ে তুলেছে কুমিল্লার পথ-প্রান্তর। বাংলা প্রকৃতির রূপরঙ্গের প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। এ গ্রীষ্মেই কুমিল্লার রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর বিভিন্ন ভবন ও অফিস পাড়ায় কৃষ্ণচ‚ড়া গাছে লাল আভা সৃষ্টি করেছে বৈচিত্যময় পরিবেশ। বৈশাখের শুরুতেই নগর, গ্রাম-গঞ্জের দৃশ্যপট মোহনীয় করে তুলেছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচ‚ড়া ফুল।
যে ফুল গাছের দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। এ ফুল গাছের আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে হলেও সমগ্র এশিয়াজুড়ে কৃষ্ণচ‚ড়ার জুড়ি নেই। ভারত ও পাকিস্তানে কৃষ্ণচ‚ড়া গুলমোহর নামেই পরিচিত। বাংলাদেশে কৃষ্ণচ‚ড়ার ডালে এ ফুলের আর্বিভাব ঘটে চৈত্রের শেষের দিকে। আর বৈশাখের শুরুতে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় তার রক্তরাঙা রূপ। কেবল গ্রামেই নয়, নগর জীবনেও মানুষের দৃষ্টির সীমানায় স্থান করে নিয়েছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচ‚ড়া।
কুমিল্লা নগরীর রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাসভবনে অসংখ্য কৃষ্ণচ‚ড়া গাছ ডাল-পালা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব গাছে ফুটে থাকা লাল ফুল পুরো নগরকে রাঙিয়ে তুলেছে।
কৃষ্ণচ‚ড়া ফুলের রক্তিম জাগরণ পথচারিদের মুহূর্তের জন্য হলেও শিহরণ জাগায় এবং রোদ্দুর দুপুরে কৃষ্ণচ‚ড়ার ছায়া দেয় প্রশান্তি। কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরীর কৃষ্ণচ‚ড়া গাছগুলো যেন পরিপূর্ণ পরিচর্যা নিয়ে টিকে থাকতে পারে। নগরীর রাস্তার পাশে আরো কৃষ্ণচ‚ড়া গাছের চারা রোপন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কুমিল্লার গাছপ্রেমিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন