শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মুক্তি পাবেন না তাই জামিন জরুরি দেখছি না’

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট‘

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদালত বলেছেন, ‘সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দিই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়) হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি এ মুহূর্তে জরুরি দেখছি না।’ গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানিকালে আদালত এসব মন্তব্য করেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড, আবেদনটি একটু শোনেন, না শুনলে আমরা হতাশ হব।’ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘না, শুনতে পারব না। শুনলে আদেশ দিতে হবে। আগে নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখব। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল দিচ্ছি না। এ মামলায় আর্জেন্সি নেই। যেহেতু অপর মামলায় উনার (খালেদা জিয়ার) সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সেটাতে তো জামিনে নেই।’ এ সময় জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড, উনি এ দেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। উনি খুবই অসুস্থ। শারীরিক সমস্যার কারণে চলাফেরা করতে পারছেন না।’ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত জামিন শুনানি করেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘আমরা নথি না দেখে শুনানি করতে পারব না। আগে নথি আসুক।’ জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনি একটি সময় নির্ধারণ করে দেন। তা না হলে সরকারপক্ষ এখানে ইন্টারফেয়ার করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন কমিশন। এখানে সরকারপক্ষ কোনো পক্ষ নয়। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল এসে বসে আছেন।’ এ সময় আদালতে হইচই শুরু হয়ে যায়। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সকল মামলায় হাজির হই; এতে দোষের কিছু নেই।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনারা এভাবে বলবেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল আসতেই পারে। আমরা তিন মাস সময় দিয়ে দিচ্ছি। নথি পাঠানোর জন্য।’
জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ সময় দেন। এর মধ্যে জামিনের শুনানির ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় আমরা অন্য কোর্টে যাবো।’ আদালত বলেন, ‘আমি আবেদনটি ফেরত দিয়ে দিচ্ছি।’ তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত, আপনার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’
আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া এ মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদÐও স্থগিত করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে এ মামলার নথি তলব করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে মামলার নথি দাখিল করতে হবে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় আদালতে খালেদার পক্ষে আরো ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল ও এ কে এম এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এ মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলটি করেন খালেদা জিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Abdur Raheem ১ মে, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
হে আল্লাহ তুমি আমাদের মাকে সুস্থ করে এবং মুক্তি দান করুন আপনার কুদরতি ইশারায়
Total Reply(0)
Md Nuzrul Islam Islam ১ মে, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
আল্লাহ পাক যেন দেশমাতাকে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু দান করেন এবং মুক্তি দান করেন আমিন আমিন সুম্মাআমিন
Total Reply(0)
Salauddin Ahamed ১ মে, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
দেশ মাতার মুক্তি ১৬ কুটি মানুষের মনের শান্তি। সৌরাচার নিপাত যাবে গনতন্র মুক্তি পাবে,।
Total Reply(0)
Mehrin Ahmed ১ মে, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
বিএনপি নেতারা তো অনেক স্বার্থপর। তারা আছে সবাই নিজেদের স্বার্থ নিয়ে। তারা তাদের নেত্রীর মুক্তি নিয়ে বক বক করে কিন্তু যৌক্তিক কোন কথাই সামনে এনে রাখে না। গা ছাড়া ভাবে কথা বলে। এদের মধ্যে কয়েকজন তো মুখে অনেক বড় বড় কথা বলে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করে না। তাদের কারণেই বিএনপি দলটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতিবাজ এক একটা।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ মে, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
আজকে খালেদার সম্পদ হিসাব করলে কয়টা বাড়ি গাড়ি পাবেন? খালেদাজিয়ার বিচার হলো দূর্নীতির বিরুদ্ধে৤ অথচ ট্রাস্ট ঘঠন হয় জনগণের স্বার্থে৤ এখানে কোন তহবিল কেও ভোগ করেনি বা খালেদা জিয়া দুনৃীত ত দূরের কথা স্পর্শ করেছে কিনা প্রমাণ নাই! আর এটা বিদেশ থেকে এসেছিল টাকা যা কিনা ট্রাস্ট ঘঠন করা হয়েছে৤ যা কিনা জনকল্যান মূলক যা কাজ শুরু হয়নি৤ আর এ রকম ট্রাস্ট ২য়টি নাই৤ তা যারা দায়িত্ব ছিলেন তারা টাকা খরচ করেনি, নিরাপদে সংরক্ষণ করেছেন৤ তাই যে অবস্থা আর যদি খরচ করতেন তাহলে কি অবস্থা হতো বুঝেন? আজ এক টি প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকান সে হলো ব্র্যাক যার প্রতিস্ঠাতা যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশের অভাবি মানুষের জন্য বিদেশ থেকে সাহায্য এনে দশ হাজার বাড়ি ঘর ও নতুর অর্থ সহায়তা দিয়েছে, কিছু পর দেখলেন সব অভাবি মানুষেরা খেয়ে ফেলেছে৤ পরে বিদেশ থেকে একিই সাহায্য আর ও এনে নিরাপদ যায়গিায় অর্থাৎ যেখানে যুদ্ধের ছুয়া লেঘেছে প্রমাণ নেই, সেই সুরুঞ্জিত বাবুর এলাকাশাল্লা- সেখানে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে৤ এর পর ধাপে ধাপে বিশ্বের বৃহৎ ব্র্যাক য়েখানে আজ লক্ষ লক্ষ লোকের কর্ম সংস্থানমুলক ট্রাস্ট, যে খানে স্যার ফজলে হাসান আবেদ চেয়ারম্যান এছাাড়াও উনার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী , জামাই পরিবারে সবাই কর্মরত৤ এখানে সাহায্যর প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত৤ এর জন্য কি কোন সমস্যা হয়েছে? বরং এটা জন কল্যাণমূলক৤
Total Reply(0)
nasir uddin ১ মে, ২০১৯, ৮:২৬ এএম says : 0
BNP WILL NOT COME TO POWER NEXT 50 YEARS.THIS GOVERNMENT WILL KILL HER AND TARAK RAHAMAN WILL COME AND FINISH HIS LIFE IN JILL. BUT MYSELF I PRAY FOR HER MAY ALLAH GIVE HER GOOD HEALTH AND STRONG BELIEVE.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন