বিশেষ সংবাদদাতা : পায়রা সমুদ্র বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এর জন্য ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানী ‘জান ডি নুল’ এর সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এম.পি’র মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবনে এ সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমান এবং ‘জান ডি নুল’ এর কান্ট্রি রিপ্রেনজেটিভ ড্যানী ডি হার্ট সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর প্রকল্পটি সরকারের ফাস্ট-ট্র্যাক প্রকল্পের অন্যতম প্রকল্প। এ বন্দরের উন্নয়নের উপর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল কূটনৈতিক তৎপরতা ও নেতৃত্বে আমরা বিস্তীর্ণ সাগরের ওপর একচ্ছত্র মালিকানা অর্জন করেছি। এখন সময় এসেছে অফুরান এ সমুদ্র সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে তোলা। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে মন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে ১৯টি কম্পোনেন্টের কাজ জরুরী ভিত্তিতে করা প্রয়োজন। এর মধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজটি সবার আগে করা দরকার এবং এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজটি দ্রুত শুরু করা হলে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কম্পোনেন্টেরগুলোর কার্যক্রম সম্পাদন করার লক্ষ্যে আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। এছাড়া, পায়রা বন্দরের ড্রেজিং কাজ শুরু হলে সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা জাহাজ যোগে জেটিতে আনয়ন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ তার “মধ্য-মেয়াদী পরিকল্পনা” অনুযায়ী আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ মিটার গভীরতার চ্যানেল ড্রেজিং, একটি মাল্টিপারপাস ও একটি বাল্ক টার্মিনালসহ বন্দর অবকাঠামো তৈরী করে বন্দর কার্যক্রম শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজটি ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে শুরু করলে মধ্য-মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন