ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে সরকারি সব সংস্থা এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে শুক্র ও শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খোলা রাখা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ৪ লাখ ৪ হাজার ২৫০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল।
দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সন্ধ্যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর ২১ থেকে ২৫ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সরকারের সব সংস্থা এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে সমন্বিতভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ছে।
সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্টর্গাডসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো ইতোমধ্যে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান উপকূলবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন