স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সংসদকে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত এবং রাজনৈতিক ও নৈতিক দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে এই সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করলেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার বক্তব্য ও আন্দোলনের দাবিনামা ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) নির্মল সেন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা এ কথা বলেন। গত আড়াই বছর ধরে একই দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি জোট।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ বলেছিল এটি একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হয়েছে সবদল চাইলে আবার জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। প্রায় আড়াই বছরে আ.লীগ সরকার সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। সরকার এখন বলছে ২০১৯ সালের আগে আর দেশে কোন নির্বাচন হবে না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বিএনপি বলছে, গণতন্ত্র হত্যা দিবস আর আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
পশ্চিমা আন্তর্জাতিকগোষ্ঠীকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কিছুটা রক্ষার কথা ভেবেছিল সরকার। সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপ ও রাজনীতির গুমোট পরিস্থিতির অবসানে আগাম নির্বাচন দিতে পারে সরকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বললেও এখন সেই পরিস্থিতি নেই।
বাম নেতারা বলেছেন, দেশের রাজনীতি-অর্থনীতিতে ভারত-মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে। এছাড়া সমতা, ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ ও তিস্তার পানিসহ ভারতের সাথে বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর ন্যায্য সমাধানে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মানস নন্দী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল হক, আবদুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু, বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার যত বেশি গণবিছিন্ন হয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে তত বেশি তারা দমন-পীড়নের কাজে ব্যবহার করছে। তারা বলেন, কৃষকসহ খোদ উৎপাদকেরা এক মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন