বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘৪ বছরের বৃদ্ধ’কে দেখতে মানুষের ভিড়

প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরার মহম্মদপুরের খালিয়া গ্রামের ৪ বছরের শিশুর মুখম-লে বৃদ্ধের ছাপ। যেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ! শিশুটির নাম  বায়েজিদ। তার পিতা লাভলু শিকদার, মা তৃপ্তি খাতুন। তাকে  দেখতে কোতূহলি মানুষের  ভিড় জমেছে বাড়িতে। বয়স তার মাত্র ৪ বছর কিন্তু দেখতে অবিকল ৭০ বছরের বৃদ্ধের মত। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই তার অবয়বে বৃদ্ধ মানুষের ছাপ। জন্মের পর শিশুটিকে দেখে ভয় পেত অনেকেই। কেউ তার কাছে ভিড়তো না। কিন্তু মা তৃপ্তি খাতুন বায়েজিদকে লালন-পালন করতে থাকে। যতই দিন যায় আস্তে  আস্তে সে বড় হতে থাকলে তার চেহারায় বৃদ্ধ মানুষের ভাব চলে আসে যা অস্বাভাবিক।। দিন যত যাচ্ছে, তার এ সমস্যা বাড়ছে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষের মতই নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে অজ্ঞাত রোগে ভুগে বড় হচ্ছে বায়েজিদ।  পরিবারের একমাত্র শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান সকলের সহায়তা চেয়েছেন তারা। শিশুটির  দাদা হাসেম আলী  বলেন,  সবাই যখন শিশুটিকে ফেলে দূরে সরে যেতে লাগলো তখন পরম মমতায় সন্তান বায়েজিদকে লালন-পালন করতে লাগলেন তার  মা তৃপ্তি খাতুন। কিন্তু অন্য দশটি শিশুর চেয়ে বায়েজিদ সম্পূর্ণ আলাদা। স্বাভাবিকভাবে সব শিশু ১০ মাসে হাঁটা শিখলেও বায়েজিদের হাঁটতে লেগেছে সাড়ে তিন বছর। আবার মাত্র ৩ মাস বয়সে তার  দাঁত উঠে গেছে। এছাড়া সে চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে স্বাভাবিকভাবে। বায়েজিদের বাবা লাভলু শিকদার বলেন, অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে  ডাক্তার দেখিয়েছি, অনেক টাকা  ব্যয় করেছি কোন কাজ হয়নি । কিন্তু আমাদের পক্ষে আর এই শিশুর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নিজের সামান্য জমিতে কৃষি কাজ আর মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে চলে তাদের  সংসার। যদি সমাজের বিত্তবান লোকেরা সহযোগিতা করত তাহলে বায়েজিদকে  চিকিৎসার  জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে পারলে ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন