শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষকরাই সৃজনশীল বোঝেন না : আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ

প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
আমাদের শিক্ষকরা সৃজনশীল পদ্ধতি বোঝেন না। তারা জানেন না কীভাবে পড়াতে হবে। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে। সৃজনশীল না বোঝার কারণে শিক্ষকরা গাইড বইয়ের দিকে ঝুঁকছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকিত মানুষ চাই এর এই উদ্যোক্তা প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সৃজনশীল না বোঝার কারণে শিক্ষার্থীদেরকেও তারা বুঝাতে পারেন না। অভিভাবক ছুটছেন কোচিং সেন্টারের দিকে। প্রাইভেট টিউটরের দিকে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, সব শিক্ষক ভালো বুঝবেন, পড়াবেন, প্রশ্ন করতে পারবেন এটা সম্ভব নয়। তবে সমস্যা সমাধানে সেন্ট্রাল কোয়েশ্চেন ব্যাংক তৈরি করা যেতে পারে। যেখানে অসংখ্য প্রশ্ন থাকবে। সেটা দেখে শিক্ষকরা সৃজনশীলতাকে বুঝতে পারবেন, পড়াতে পারবেন, প্রশ্নও করতে পারবেন এবং এ প্রশ্ন ব্যাংক থেকেই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে। শিক্ষর্থীরা দিক-নির্দেশনা পাবে। অভিভাবকের ছুটাছুটি বন্ধ হবে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলোর পড়াশোনা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর মূল কারণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে সরকারি অর্থয়ানে পরিচালিত ক্যাডেট স্কুলগুলো বাহিরের প্রভাবমুক্ত থাকায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলোকে পুরোপুরি ক্যাডেটের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারলে শিক্ষার গুণগতমানের পরিবর্তন হবে এবং প্রকৃত শিক্ষার সুফল পাওয়া যাবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শিক্ষার সোনার খাঁচা তৈরি হচ্ছে, গানের পাখিটা আসছে না। এমসিকিউ প্রশ্নের ফলে নকল হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমসিকিউ ১৫ তে নামিয়ে আনতে হবে। এক বাক্যে প্রশ্ন করার ফলে নকলের প্রবণতা বেশি বাড়ছে। এ নকল ঠেকাতে দুই বা তিন বাক্যে প্রশ্ন করতে হবে। এমসিকিউ বাদ দেয়া গেলে আরো ভালো হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত বিভিন্ন শিক্ষাবিদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন