বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কতো দামে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করেছেন -রিজভী

প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রকারের উদ্দেশ্যে বিএনরপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কত দামে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করেছেন আপনারা? ২০১০ সালে ৫০ দফা যে চুক্তি করেছেন তার মধ্যে আর কি আছে। এটা দয়া করে বাংলাদেশের জনগনের সামনে বলুন। ভারতকে ‘অল্প দাম’ ল্যান্ড ট্রান্সজিটের সুবিধা দিয়ে সরকার দেশের আত্মাকে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের তরফ থেকে এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, কত নির্লজ্জ হতে পারে এই সরকার দিনে দিনে সার্বভৌমত্বকে দূর্বল করে দিচ্ছে? মাত্র ১৯৮ টাকা মাসুল দিয়ে ভারতে ট্রানজিট যাবে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। অথচ এখানকার এই ট্রানজিট কমিশনে যারা কাজ করেছেন, তারাও ফি নির্ধারণ করেছিলেন একটি- সেটা হচ্ছে ১০৫৮।  সেটাকে অগ্রাহ্য করে সরকার নিজের ইচ্ছায়, নিজের ক্ষমতায় ১৯৮ টাকা করেছে। কী গভীর প্রেম?
এ কারনে মাত্র নামকা ওয়াস্তে ১৯৮ টাকা ফি দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম যাবে ভারতে। এই যে আখাউড়া  থেকে একেবারে আগরতলা পর্যন্ত ল্যান্ড ট্রানজিট দেয়া, এটা একেবারে দুরভিসন্ধিমূলক এবং এই অল্প দামে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দেয়া। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, সরকার আত্মাকে বিক্রি করে দিয়েছেন পাশ্বর্বতী দেশের কাছে।
তিনি বলেন, জনগনকে বিভ্রান্ত করে, ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে আজকে ট্রানজিটের নামে সার্বভৌমত্ব দূর্বল করার যে গভীর চক্রান্ত হচ্ছে তার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জাতীয়  প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মৌলিক অধিকার, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
ট্রানজিটের কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৮ টাকা ফি টা আসলে মালামালের ফি না। এই ফিটা অন্যভাবে দেয়া, টাকাতে না। একটি দেশের ভোটারবিহীন সরকারকে আনুগত্য দেয়া হচ্ছে। এটাই হচ্ছে বড় ফি পার্শ্ববতী দেশের। ভারতে আনুগত্য দিয়ে একটি সরকারকে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। এতো বড় ফি তো আর হতে পারে না। নামকা ওয়াস্তে ফি দিয়ে ভারতে বিভিন্ন মালামাল যাবে। আর কি যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ৭টি প্রদেশে কেউ স্বাধীনতা দাবি করছেন, কেউ স্বায়াত্বশাসন দাবি করছেন, এগুলোকে নাকী দমন করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র যাবে। বাংলাদেশ আজ কোন পর্যায় পড়েছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘করনীয়’ উল্লেখ করে রিজভী আহম্মেদ বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য হতে হবে। এই ঐক্য না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা থাকবে না। আমাদের রাষ্ট্রীয় দর্শনও ¤øান হয়ে যাবে। এই কারণে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা বিভিন্নভাবে বিপর্যযস্ত করার জন্য মামলা-মোকাদ্দমা-চার্জসিট দিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়ার চেষ্টা করছে। বেশি বাড়াবাড়ি করো না, তাহলে কিন্তু তোমাকে এই করা হবে, ওই করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন