জাবি সংবাদদাতা : র্যাগিংয়ের নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগ ও রফিক জব্বার হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় হলের কমপক্ষে ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে্েছ।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের বিকাশ রায়, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাওফিক, সাগর হোসেনকে শহীদ রফিক-জব্বার হলে ডেকে নিয়ে যায় উক্ত হলের ৪৪তম ব্যাচের একই বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নয়ন ও তন্ময় দত্ত। এসময় তাদেরকে মুরগি বানিয়ে র্যাগিংয়ের এক পর্যায়ে বিকাশ রায়কে স্টাম্প দিয়ে পেটায় অনিরুদ্ধ চন্দ্র (ভূতাত্তিক বিজ্ঞান, ৪৪তম ব্যাচ)।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে শহীদ রফিক জব্বার হলের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মওলানা ভাসানী হলের পার্শ্ব রাস্তায় হলের নামে খারাপ সেøাগান দিলে তাদের সাথে মওলানা ভাসানী হলের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় শহীদ রফিক জব্বার হলের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মারধর করলে দুই হলের ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে উভয় হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রড, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় হলের কমপক্ষে ৭-৮জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুরশিদুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে ছিলাম। ঘটনা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচার দাবি করছি।
শাখা ছাত্রলীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিথুন কু-ু বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন