কর্পোরেট রিপোর্ট : আগামী ৩০ মে থেকে ১ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কুইন সিরিকিত ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো ২০১৬’। এই আয়োজনে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারী ও দর্শনার্থীদের সামনে মেলে ধরা হবে বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক। প্রদর্শনীতে সাজিয়ে তোলা হবে বাংলাদেশকে। যে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনবে থাইল্যান্ড। ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী হতে যাওয়া এই মেলায় বাংলাদেশের ৫৫টি শীর্ষ কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৪ বছর চললেও এর আগে কখনই থাইল্যান্ডে এমন প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ। অথচ গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে থাইল্যান্ড। আসন্ন প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডায় রপ্তানি করা শুল্কমুক্ত পণ্যগুলোও প্রদর্শন করা হবে । প্রদর্শনীতে থাই বিনিয়োগ আকর্ষণেরও প্রচেষ্টা থাকবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, পর্যটন এবং কৃষি ও পোশাক খাতে বিনিয়োগের জন্য এই প্রদর্শনী থাই বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মোক্ষম সুযোগ। ব্যবসায়িক দিকের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিকও তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীতে। ৩০ মে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন শো। ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড থ্রেডস অব হেরিটেজ ফ্যাশন শো’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হবে থাইল্যান্ডের রানী সিরিকিত এবং থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের সকল রেশম শিল্পীর সম্মানে। থাইল্যান্ডের রেশম শিল্পের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে থাই রাণী সিরিকিতের। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের নামকরা ডিজাইনারদের ডিজাইনে রেশম ও মসলিনে প্রস্তুত পোশাক প্রদর্শিত হবে এই ফ্যাশন শো’তে। ব্যাংককের সিরিকিত ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ৩১ মে শুরু হবে এই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো ২০১৬। বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বোন চায়না এবং সিরামিক ও টাইলস, ফার্নিচার, অর্গানিক চা ও বিভিন্ন খাদ্য পণ্য, গ্লাস, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, লেদার ও ফুটওয়্যার, ফুড বেভারেজ, হিমায়িত খাবার, পলিমার, প্লাস্টিক, মেলামাইন, মোটর গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ, শিপবিল্ডিং, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স,পাটজাত পণ্য, রেশম ও হস্তশিল্প, আইসিটি ও সফটওয়্যার, পর্যটন, হসপিটাল ও মেডিকেল সার্ভিস, কৃষি যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব, প্রসাধনী সামগ্রী ও অলঙ্কার উৎপাদন ও রফতানিকারক অর্ধশতাধিকেরও বেশি প্রতিষ্ঠান এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন