কর্পোরেট ডেস্ক : ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে স্বর্ণের দাম আবারো কমেছে। টানা পাঁচদিনের দরপতন শেষে মূল্যবান ধাতুটির দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সরবরাহ চুক্তিতে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ২২ ডলার ৩০ সেন্ট কমে ১ হাজার ২২৯ ডলার ২০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ১৪ এপ্রিলের পর এটিই ছিল স্বর্ণের সর্বনিম্ন দাম। চলতি মাসে ধাতুটির দাম এ নিয়ে মোট ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমল। মূল্যবান ধাতুটির বাজারে এ নিম্নমুখিতার পেছনে চাহিদা মন্দা কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদহার বাড়ানো হতে পারে, এমন প্রত্যাশার বিপরীতে এ চাহিদা মন্দার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের তথ্যমতে, এপ্রিলে দেশটির গৃহায়ন খাতের বিক্রি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, মাসের হিসাবে যা ছিল ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গোল্ড নিউজলেটারের সম্পাদক ব্রিয়েন লুন্ডিন বলেন, স্বর্ণের বাজারের অবস্থা দেশটির এ গৃহায়ন খাতের উল্লম্ফনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত ছিল। ফেড প্রেসিডেন্ট জুনে সুদহার বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহী। আর গৃহায়ন খাতে বিক্রি বাড়ায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাঙ্গাভাব একে সমর্থন করছে। বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, উচ্চসুদহার স্বর্ণের পরিবর্তে ডলারের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে মানুষকে। কারণ স্বর্ণের বিপরীতে সুদ পাওয়া যায় না। এতে ডলারের বিনিময়ে মূল্যবান ধাতুটির ক্রেতা কমে আসবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা অন্য কোনো উেসর দিকে ঝুঁকবে। সানফ্রান্সিসকো ফেডের প্রেসিডেন্ট গত রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে না। একই বক্তব্য দিয়েছেন সেন্ট লুইসের ফেড প্রেসিডেন্টও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারসহ অন্যান্য বিষয় বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে যা ফেডের লক্ষ্যকেই সমর্থন করছে। এদিকে মঙ্গলবার স্বর্ণের নিম্নমুখিতার প্রভাব ছিল রুপার বাজারেও। জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে রুপার দাম ছিল আউন্সপ্রতি ১৬ ডলার ২৫ সেন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ১ শতাংশ কম। জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম ৮ ডলার ৯০ সেন্ট বা দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪ ডলার ২০ সেন্টে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্যালাডিয়ামের দাম ছিল ৫৩৮ ডলার ৮০ সেন্ট। আগের দিনের তুলনায় এ দাম ছিল ১২ ডলার ৫৫ সেন্ট বা ২ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন