শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবন ১৪৩১, ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কর্পোরেট

বাণিজ্যমেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ভ্যাট আদায়

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ভ্যাট আদায় হয়েছে। মেলার গত ২৭ দিনে ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বলে মেলা সূত্রে জানা গেছে। তবে গতবারের মতো এবারও ভ্যাট প্রদানে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজের ডেপুটি কমিশনার রাকিবুল হাসান বলেন, এ বছর মেলায় শুরু থেকে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-দর্শণার্থী মেলায় আসছে এবং সাধ্যমতো কেনাকাটা করছেন। এতে করে ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধিও ভালো হচ্ছে। ওয়ালটন এ বছরও ভ্যাট প্রদানে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভ্যাট প্রদান করছে। এ ছাড়া ফার্নিচার শিল্পে এ বছর ১০% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে করে হাতিল, নাদিয়া, আকতার ফার্নিচার থেকেও ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। আশা করছি, গতবারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ভ্যাট আদায় হবে এ বছর। জানা গেছে, গতবছর মেলার ২৭তম দিন পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয়েছিল ৬৫ লাখ ৭২,৮৯৭ টাকা। এর মধ্যে দেশীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ভ্যাট দিয়েছিল ৫ লাখ ৫৮,৯০৫ টাকা। এ বছর ওয়ালটন এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকারও বেশি ভ্যাট প্রদান করেছে, যা একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া বেশির ভাগ ছোট ও মাঝারি মানের স্টলগুলো বিক্রির ওপর ক্রেতাদের কাছ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর তাগিদ দেয়া সত্তে¡ও ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ইসিআর মেশিন ও সফটওয়্যার বা পস পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করছে। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভ্যাট আদায় ও প্রদানে স্বচ্ছতা রয়েছে বলে মনে করছেন মেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তারা। মেলায় ভ্যাট বা মূল্যসংযোজন কর (মূসক) আদায়কারী সোনালী ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন ম্যানেজার এজেডএম সাইফুল্লাহ বলেন, এ বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সার্বিক আবহাওয়া ভালো থাকায় মেলার শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম চোখে পড়ার মতো। সার্বিক বেচাবিক্রিও ভালো হয়েছে। আর তাই ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। বরাবরের মতো এবারও ভ্যাট প্রদানে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিনই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভ্যাট প্রদান করছে বলে জানান তিনি। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, এবারের মেলায় দেশীয় পণ্যের প্রতি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি। ইলেক্ট্রনিক্স পণের মধ্যে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেশির ভাগ ক্রেতা-দর্শনার্থী পছন্দমতো পণ্য কিনছেন। স্মাট ফোন, এলইডি টিভি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ ও বিভিন্ন আইটেমের ইলেক্ট্রনিক্স গৃহস্থালি পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ওয়ালটনের প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ আকরামুজ্জামান অপু জানান, পরপর কয়েক বছর মেলাতে সেরা ভ্যাটদাতা হিসেবে ওয়ালটন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে সেরা পুরস্কারের সম্মান অর্জন করেছে। এটা আমাদের যথাযথভাবে ভ্যাট প্রদানে অনুপ্রাণিত করেছে। আশা করছি এবারও সেই খ্যাতি অক্ষুন্ন থাকবে। ওয়ালটন ছাড়া সনি, মাইওয়ান ও যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স বাণিজ্যমেলায় নতুন নতুন পণ্য মেলায় নিয়ে এসেছে। এছাড়া ব্যাপক পরিমাণে ফার্নিচার, ক্রোকারিজ আইটেম, প্লাস্টিক পণ্য, প্রসাধনী এবং পোশাক পণ্যের সমাহার ঘটেছে এবারের মেলায়। যে কারণে মেলা উদ্বোধনের পর থেকেই ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন