অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ আগামী ১৯ মার্চ থেকে দেশের সকল তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের পাশাপাশি তিন মাস পর পর মোড়কের সচিত্র পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রুহুল কুদ্দুস। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান তিনি। মো. রুহুল কুদ্দুস জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন। ‘টোব্যাকো প্যাক সার্ভিলেন্স সিস্টেম টিপ্যাকএসেস: বাংলাদেশ সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তার উপস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন (বিসিসিপি) এবং প্রজ্ঞা।
মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, যেকোনো দেশের সিগারেট কোম্পানি বাংলাদেশের বাজারে তার পণ্য বাজারজাত করতে চায়, তাহলে অবশ্যই দেশের আইন মানতে হবে।
আর টোব্যাকো আইন কেউ অমান্য করলে দুই লাখ টাকা অর্থদ- ও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের বিধান রয়েছে। যতোবার এই আইন অমান্য করবে ততো দ্বিগুণ সাজা বাড়বে। ধূমপান জাতীয় পণ্যের জন্য পাঁচ ধরনের সচিত্র সতর্কীকরণ বার্তা এবং তামাকজাত পণ্যের জন্য দুই ধরনের সতর্কীকরণ বার্তা ব্যবহার করতে হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশনের (বিসিসিপি) গবেষণায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম শহর থেকে মোট ১৯১টি সিগারেট প্যাকেট সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত ওই সকল প্যাকেটের ৫৬টিতে অর্থাৎ ২৯ শতাংশ প্যাকেটে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বর্ণিত সতর্কবার্তা দেখা গেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ছেলে-মেয়েদের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ৫৭ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যান। এছাড়া পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ। বিসিসিপি’র টিম লিডার ড. নজরুল হকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড লাং ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. জোয়ানা কোহেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন