বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রায় বাড়িফেরা যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে হয়রানি করবেন না। পুলিশ জনগণের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে, তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকুন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি আরো বলেন, ঈদ এলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিআরটিএ কর্তৃৃক প্রদত্ত চার্টের অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যাত্রীদের ব্যাগ টানাটানি করে কোনো রকম হয়রানি করা যাবে না। ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে সড়ক পথে দুর্ঘটনা এড়াতে চালককে দায়িত্বশীল হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ব্যতীত কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। মালিক পক্ষ কোনো মাদকাসক্ত ড্রাইভারের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং দেবেন না। সেই সঙ্গে চালক, হেলপার বা পরিবহন সেক্টরের কাউকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে পুলিশের সহায়তায় ডোপ টেস্ট করানোর আহŸান জানিয়েছেন আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও বলেন, টার্মিনালে গাড়িতে যাত্রী উঠানোর পর নির্ধারিত হলুদ দাগ দেয়া আছে। এই দাগ অতিক্রম করলে গাড়ি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে গাড়ি ছাড়ার পূর্বে বাস মালিক-শ্রমিক ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ড্রাইভারের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করে গাড়ি রাস্তায় নামতে দেবেন। কোনো অবস্থায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস ব্যতীত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। চালকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, গাড়ির চালকরা সুযোগ পেলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান, মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান। গাড়ি চালানো অবস্থায় এমনটি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক আমাদের বড় সমস্যা। আপনারা মাদক সেবন করবেন না। মাদক আপনার সঙ্গে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করছে। কোনো মাদকাসক্তকে গাড়িতে চাকরি দেবেন না। ড্রাইভার না থাকলে হেলপারকে গাড়ি চালাতে দেবেন না। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন