নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাত হাসান ও তার ভগ্নিপতি সাদেক হোসেনকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগে জিডি হয়েছে। সাদেক হোসেন বাদী হয়ে ওই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, আমি মোঃ সাদেক হোসেন পিতা মৃত করিম হোসেন সাং ৫৫/১ এস.এম. মালেহ রোড থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ লিখিত ভাবে জানাচ্ছি যে, বন্দর থানাধীন পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আমার শ্যালক মোঃ রিফাত হাসান (১৫) কে সাথে নিয়া তার পাসপোর্ট সাইজ ছবি শহরের এক নং রেল গেট সংলগ্ন বাঁধন স্টুডিও থেকে নিয়ে গত ২৫ মে সন্ধ্যায় আনুমানিক পৌনে ৭টায় রাস্তায় আমি ও শ্যালক দাঁড়িয়ে কালিরবাজার যাওয়ার জন্য রিকশা ডাক দেই। ঠিক ওই সময় আমার পেছন দিক থেকে অজ্ঞাত নামা ৩ জন লোক তাদের হাতের কনই দিয়া আমার পিছনে পিঠে ধাক্কা দিয়ে আমাকে বলতে থাকে যে, ‘যা করেছিস তার মধ্যেই থাক। আর তা না হলে গাড়ি চাপা দিয়া তোদের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলব।’ বলে আমাদের নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়া চলে যায়। এই ঘটনায় আমি ও শ্যালক রিফাত হাসান জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
প্রসঙ্গত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠ বসের আগে মূলত ইসলামকে কটূক্তি নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। আর সেই ঘটনার সূত্রপাতের পেছনে স্কুলের দশম শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র রিফাত হাসানকে নিয়ে। রিফাত হাসানের বক্তব্য শুরু থেকে বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রচার হয়। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রিফাত ধর্মকে কটূক্তি করে বক্তব্যে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিবিসি বাংলাসহ অনেক গণমাধ্যমে কটূক্তির বিষয়টি স্বীকার করে। এ অবস্থায় গত ২০ মে শুক্রবার দুপুরে শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে ‘নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা’ ব্যানারে শ্যামল কান্তি ভক্তের শাস্তি দাবিতে সমাবেশে হাজির করানো হয় রিফাতকে। সে বক্তব্য রাখে জনসম্মুখে।
রিফাত বলেন, ‘হেড স্যার ক্লাসে ছেলেমেয়েদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে বলে তুইও নাপাক তোর আল্লাহও নাপাক। পরে হেড স্যার আমাকে আরো মারধর করে পেটে একটা ঘুষি দেয়। তখন আমি অনেক ব্যাথা পাই। ওই সময়ে আমি আল্লাহ আল্লাহ বলতে থাকলে হেড স্যার বলে আল্লাহ বলতে কিছু নাই।
রিফাত বলেন, ‘আমাকে মারধর করছে সেটার বিচার করে নাই। আল্লাহকে গালি দিছে আমি এর বিচার চাই। আমি আমাকে মারধরের বিচার চাই। শিক্ষকের বিচার চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন