বৈরী আবহাওয়ায় দেশের ব্যস্ততম শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। এরই মাঝে গতকাল সোমবার লঞ্চে ও স্পিডবোটে যাত্রী চাপ বাড়লেও শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিতে যানবাহন সঙ্কট রয়েছে। স্পিডবোটগুলোতে বাড়তি ভাড়া ও লঞ্চগুলো অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে লোডমার্ক মেনে চলছে।
কাঠালবাড়ি ঘাট থেকেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বাস ও মাইক্রোবাসসহ অভ্যন্তরীণ সকল যানবাহনে। ঘাটে র্যাব, পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বাড়ায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে উঠে। এরই মাঝে এ রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলোতে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। স্পিডবোটগুলোতে বাড়তি ভাড়া অব্যাহত থাকে এদিনও যাত্রী প্রতি ৩০-৫০ টাকা ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে যাত্রী চাপের কারণে লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লোডমার্ক মেনে পার হচ্ছে। নদীতে নাব্যতা সঙ্কট না থাকায় এদিনও ফেরি ঘাটে ভোগান্তির চিত্র চোখে পড়েনি। শিমুলিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিগুলো যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পদ্মা পাড়ি দিয়ে এসে কাঠালবাড়ি থেকে বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়ার গুনতে হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে। স্থানীয় যানবাহনগুলোও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
এই নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বরিশালগামী যাত্রী করিম মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে বাসে বেশি ভাড়া শুরু হয়েছে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএর টার্মিনাল পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। ভাড়া বেশির ব্যাপারে প্রশাসনের নজর রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, শিমুুলিয়া ঘাটে এখন পর্যন্ত যানবাহনের তেমন চাপ নেই। ফেরিগুলো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন