রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাটুরিয়া মাওয়ায় যানজট নেই

ফেরিতে রেকর্ড পরিমাণ যানবাহন পারাপার

নাছিম উল আলম, বরিশাল থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিআইডব্লিউটিসি এবারই প্রথম তার বহরের সবগুলো ফেরি চলাচল উপযোগী রাখতে পাড়ায় দেশের প্রধান দুটি ফেরি ঘাট পাটুরিয়া ও মাওয়াতে কোন যানজট নেই। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সংস্থাটি তার সবগুলো ফেরিতে প্রায় ১৩ হাজার যানবাহন পারাপার করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরো পাঁচ সহস্রাধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে পাটুরিয়া ও মাওয়াতে। ফলে রাজধানীর সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ২১টি জেলার সড়কপথে যানবাহন চলাচল এবার এখনো নির্বিঘ্ন। তবে কিছুটা ভোগান্তি রয়েছে চাঁদপুর-শরিয়তপুর, ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল ফেরি সার্ভিসে। এসব এলাকায় পারাপারকৃত যানবাহনের প্রায় অর্ধেকই অপেক্ষমান থাকছে।

গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৭ হাজার ৬০৩ টি এবং মাওয়ার কাঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আরো প্রায় ৪ হাজার যানবাহন পারাপার সম্ভব হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ১১টি রো-রো ফেরিসহ মোট ২০টি ফেরি চলাচল করছিল। একই সময়ে মাওয়ায় ৩টি রো-রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছিল।

গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ৪১৪টি যানবহন পারাপারের পরেও আরো প্রায় ২শ’ অপেক্ষমান ছিল বলে জানা গেছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-লক্ষীপুর-ভোলা-বরিশাল-মোংলা-খুলনা মহাসড়কের ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ১৯৩টি যানবাহন পারপার হলেও অপেক্ষমান ছিল আরো ১২০টি। ঐ মহাসড়কেরই ভোলা ও বরিশালের মধ্যে লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুটে ৪টি ইউটিলিটি টাইপ-১ ফেরির সাহায্যে প্রায় সোয়া ৪শ’ যানবাহন পারপারের পরেও প্রায় ২শ’ অপেক্ষমান ছিল।

অথচ ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল রুটে ফেরি চলাচল ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানবাহন পারাপার বৃদ্ধি করতে পারলে তা ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ হ্রাস করতে সহায়ক হত। ২০০৭ সালে ২টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে পরীক্ষামূলকভাবে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি সার্ভিস চালু করা হলেও গত এক যুগেও এ রুটে মানসম্পন্ন কোন ফেরি সরবরাহ করেনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, এবার সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। ফলে যানবাহন পারপারেও রেকর্ড সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর, ভোলা ও বরিশালে ফেরি স্বল্পতার কথা স্বীকার করে কিছু যানবাহন অপেক্ষমান থাকার কথা জানিয়ে এ জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন। ঈদের পরে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে আরো অন্তত ১টি ফেরি চালুর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন