কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মোবারক মিয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগের পর রহস্যজনক কারণে পুলিশ ঘটনার দিনই কথিত বাদী মাসুমের প্রতিপক্ষ কালা মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকের দুইদিন পর গতকাল সোমবার পুলিশ কালা মিয়াকে কোর্টে চালান দেয়।
এদিকে গুরুতর জখমের পর পায়ে ৩৩টি সেলাই নিয়ে মোবারক শহরের স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, মামলার বাদী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের গোইল্লার বাড়ির মাসুমের বাবা আলাউদ্দিন ও চাচা কালা মিয়ার পারিবারিক জায়গা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিলো।
এ নিয়ে গত শনিবার দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। একই বাড়ির নিরপেক্ষ ব্যক্তি মোবারক হোসেন এগিয়ে এসে জড়িত দু’পক্ষের লোকজনকে ফেরাতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে ও বাদী মাসুমের ভাই মাহফুজ মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে হাতে থাকা ধাঁরালো দা দিয়ে মোবারক মিয়াকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় মোবারককে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
অপরদিকে নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করা মাসুম মিয়ার ভাই মাহফুজ সেই মোবারককেই নিজের ভাই দাবি করে এবং মাসুম নিজেও আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করে ভৈরব থানায় অভিযোগ দেয়।
বাদী মাসুম পুলিশের কাছে দেয়া অভিযোগে তথ্য গোপন করে তাদের প্রতিপক্ষ কালা মিয়া ও তার লোকজনকে আসামী করলে ঘটনার দিনই পুলিশ কালা মিয়াকে আটক করে নিয়ে আসে। স্থানীয় নেতাদের অনুরোধে ভৈরব থানা পুলিশ আটককৃতকে দুইদিন থানা হাজতে রাখার পর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে গতকাল কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ভৈরব থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান, মামলার বাদী মাসুম মিয়া ঘটনার দিন পার্শ্ববর্তী শিমুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান যোবায়ের আলম দানিছকে সাথে নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন