ফারুক হোসাইন ; রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, নিকেতন ও মহাখালী ওল্ড ডিওএইচএস এলাকার প্রতিটি ভবনে স্থাপন করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার। ভূগর্ভস্থ ক্যাবলের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতেই সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করে তুলেছে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন)। তারপরও এসব এলাকার সড়কগুলোতে এখনও ঝুলছে তারের ঝুরি। বিদ্যুতের পিলারে পিলারে রয়েছে তারের জট। একই চিত্র রাজধানীর অন্যান্য এলাকাগুলোরও। এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, নিকেতন ও মহাখালীতে তারা শতভাগ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। রাজধানীর অন্যান্য এলাকাগুলোতেও সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে প্রতিটি ভবনে। কিন্তু এরপরও রাজধানীর মূল সড়ক কিংবা গলি পথ চলতে গিয়ে পিলারে পিলারে তারের জটলা চোখে পড়ে। সড়কগুলো থেকে বিপজ্জনক তার অপসারণ করতে গত পাঁচ বছরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কোনো সড়কে তার কেটে অপসারণ করার কয়েকদিন পরই ফিরে পাচ্ছে আগের রূপ। বারবার সময় দেয়ার পরও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝোলানো এই তারের জট সরানো যায়নি। এখনও রাজধানীর সড়কগুলোয় বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের ডিশলাইন ও ইন্টারনেটের শত শত তার। এই তার ছিঁড়ে মাঝে-মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলছে তাদের দুটি পৃথক কমিটি ঝুলন্ত তার অপসারণে কাজ করছে। তবে কোনো কিছুই কাজে আসছে না বলে স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ বজলুর রহমান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, তার অপসারণ কমিটি বিভিন্ন এলাকায় তার কেটে অপসারণ করছে কিন্তু কিছুদিন পরই আবার তার উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, ধানম-ি মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক কিংবা গলি পথ সর্বত্রই ঝুলছে তার। বিদ্যুতের পিলার ব্যবহার করে এসব তার ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী জুড়ে। প্রতিটি পিলারের সাথে পাকিয়ে ফেলা হয়েছে তারের কু-লী। ঝুলে থাকা এসব তারের মাধ্যমেই মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হওয়াসহ নানা রকম দুর্ঘটনা ঘটছে। জঞ্জালের মতো এসব তার নষ্ট করছে ঢাকার সৌন্দর্যও। যদিও রাজধানীর সড়কগুলোতে ঝুলন্ত তার (ক্যাবল) অপসারণে গত পাঁচ বছরে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথেই কয়েক দফা বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী ও সচিব। দেয়া হয়েছে দফায় দফায় আল্টিমেটাম। তবে কোনো কিছুই কাজে আসছে না। সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগে ঢাকা মহানগরীর রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলন্ত তার অপসারণ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলের মধ্যে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ঝুলন্ত তারমুক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নিকেতন ও মহাখালী ডিওএইচএসে এফটিটিএক্স নেটওয়ার্ক বিদ্যমান থাকায় ঝুলন্ত তার অপসারণ করার কথা বলা হয়। এছাড়া গণমাধ্যমে ঝুলন্ত তার অপসারণ নিয়ে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার এবং এসএমএসের মাধ্যমেও সচেতনতা প্রচার করতে হবে। ওই সভাতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই বিদ্যুৎ পোল থেকে তার সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যদিও এর আগের প্রতিটি সভাতেই ঝুলন্ত তার কেটে অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং পুনরায় তার না তোলার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়। আর এই নির্দেশনা প্রতিবারই সেই সভা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছে। কয়েক দিন তার অপসারণ কমিটি তার কেটে চলে যায় এর কিছুদিন পর আবারও সড়কগুলো আগের রূপ ফিরে পায়।
গত বছর জুলাইয়ে ঝুলন্ত তার অপসারণে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও নির্দেশনা দেয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি। একই রকম নির্দেশনা দেয়া হয় ২০১৪ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ঝুলন্ত তার সরানো নিয়ে গত পাঁচ বছরে দফায় দফায় বৈঠক ও কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে সরকার রাজধানীর সব ঝুলন্ত তার ও বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকে সংশ্লিষ্টরা সময় নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ সময় দিয়েছেও। কিন্তু তার আর সরেনি। ঝুলন্ত তার ঝুলেই আছে। নগরীর সব জায়গায় এসব তার বিশেষ করে ইন্টারনেট ও ডিশের তার বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলছে বিশৃঙ্খলভাবে। কিছু কিছু স্থানে তারের চাপ এমন যে খুঁটি হেলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গত চার বছরে ঝুলন্ত তারের মাত্র ২০-৩০ শতাংশ ভূগর্ভে স্থানান্তরিত হয়েছে। বাকি ৭০-৮০ শতাংশ এখনো রাস্তায় ঝুলছে। শুধু তাই নয়, বড় রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত তার সরিয়ে নেয়ার বাধ্যবাধকতার কারণে আইএসপি এবং ক্যাবল টিভি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো গলিপথে আরো ঝুঁকিপূর্ণভাবে তার ঝুলিয়েছে। মূল সড়কের ঝুলন্ত তার এখন সরু গলিপথেও ছড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে রাজধানীতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রায় ৬০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংযোগের প্রায় পুরোটাই বিদ্যুতের খুঁটিনির্ভর। সম্প্রতি সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বেকায়দায় পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে বারবার ধরণা দিচ্ছে এখনই যাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়। রাজধানীর ফকিরাপুল, মতিঝিল, মগবাজার, পল্টন, পুরনো ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোয় ভূগর্ভস্থ অভিন্ন ক্যাবল নেটওয়ার্কে যুক্ত না হয়ে তার টাঙানো হয়েছে রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। অভিযোগ আছে, বিটিআরসি, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার কারণেই রাস্তায় ঝুলন্ত তার সরানোর কাজে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বিপজ্জনক তারের জট থেকে নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না
নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে এবং কম খরচে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঞ্জরুল আলম ২০০৮ সালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ভূগর্ভস্থ কমন নেটওয়ার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশনস ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) গাইডলাইন তৈরি করেন। ওই গাইডলাইন অনুযায়ী, ফাইবার অ্যাট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ শেষ করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকায়ই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও ক্যাবল টিভি অপারেটররা অভিন্ন এই নেটওয়ার্কে যুক্ত না হয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ক্যাবল টেনেছেন। এই ক্যাবল অপসারণ করতে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তারের জঞ্জাল সরেনি। ওই সময়ে ভিআইপি সড়কে এই তারের জঞ্জাল অপসারণে অভিযানও চালানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিটিআরসি। ফলে আবারও বিপজ্জনক তারের জঞ্জাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি দখল করে ফেলছে। যদিও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভূগর্ভস্থ ওই কমন নেটওয়ার্কে ঢুকতে মাশুল বেশি ধরছে সংশ্লিষ্ট দুই কোম্পানি। যে কারণে ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা চিন্তা করে কোনও-কোনও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওই নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ফাইবার অ্যাট হোমের গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আব্বাস ফারুক। তিনি বলেন, বিটিআরসিসহ সরকারি অন্যান্য সংস্থার ব্যর্থতার কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে জট পাকানো তারের জঞ্জাল সরছে না। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে আমরা ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করেছি। এমনকি ম্যাশ (জালের মতো) নেটওয়ার্ক স্থাপনের কারণে একদিক দিয়ে সংযোগের সমস্যা হলে অন্যদিক দিয়ে সংযোগ প্রদান করা যাবে। এছাড়া গুলশান, নিকেতনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার লিংক রোডগুলোতেও (গলি পথ) এই সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আব্বাস ফারুক বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা ব্যান্ড উইথের মূল্য বেশি দাবি করে এর সাথে সংযুক্ত হতে চায় না। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত এর মূল্য নির্ধারণ করে বিটিআরসি। এর আগে বারবারই ঝুলন্ত তার নামিয়ে ফেলতে সময় বেঁধে দেয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। ওইসব নির্দেশনায় বলা হয় ক্যাবল অপারেটর এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার অপসারণ করবে। তবে তারা ব্যর্থ হলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। তার অপসারণে ব্যর্থ হলে ডিপিডিসি এবং ডেসকোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বাস্তবতা বলছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা কাগজে কলমেই রয়ে গেছে। কেননা এখনো রাজধানীর সব সড়কেই ঝুলছে তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝুলন্ত তার অপসারণ কমিটির প্রধান ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বজলুর রহমান বলেন, গত মাস পর্যন্ত আমরা মতিঝিল এলাকায় তার অপসারণ করেছি। এর আগে মহাখালী, গুলশান, নিকেতন এলাকায় তার অপসারণ করেছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরই আবার তার আগের মতো পিলারে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঝুলন্ত তার অপসারণে অভিযান জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে তার কাটার পর যেন আবার তা তুলতে না পারে সে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ পোলগুলোকে তার ঝুলাতে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেখা যায়, সরকারের ২০১০ সালে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর ক্যাবল অপারেটর এবং ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সব তার ভূগর্ভস্থ করার কথা বলা হয়। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কয়েক ধাপে অভিযান চালানো হলেও এসব ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কোনো কোনো এলাকায় তারের জঞ্জাল কিছুটা কমেছে। সাধারণত বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের অবকাঠামো ব্যবহার করেই এ ব্যবসা করে যাচ্ছে সেবা প্রদানকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীতে যে ঝুলন্ত তার রয়েছে তার বেশিরভাগই আইএসপি’ ও ডিস সংযোগ হলেও অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার জন্যও ব্যবহৃত তার রয়েছে এগুলোতে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক অব্যবহৃত তার ঝুলে রয়েছে সড়কে সড়কে।
অন্যদিকে রাজধানীর রাস্তাগুলোতে যাদের তার সবচেয়ে বেশি সেই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি ভবনে ভবনে ক্যাবল নিয়ে যেতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত ঝুলন্ত তার অপসারণ করা সম্ভব হবে না। যদিও ঝুলন্ত তার অপসারণবিষয়ক মনিটরিং কমিটি মতিঝিল, গুলশান, মহাখালী, বারিধারা, নিকেতনসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে এনটিটিএন প্রতিটি ভবনে ইতোমধ্যে ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন