রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য যেন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে সে বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার সকালে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা (বিদেশি কূটনীতিক) আমাদেরকে বলেছেন যে, তারা আমাদের সাথে আছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ বৃদ্ধি করুন, যাতে তারা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং প্রায় সবাই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন।’
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে মোমেন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক অঙ্গীকার অনুসারে রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার।
বাংলাদেশ বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দায়ী করে আসছে শরণার্থী ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
এদিকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ঢাকা ও নেপিডো একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই।
মিয়ানমার তাদের জনগণকে (রোহিঙ্গা) ফেরত নিতে চায় না, যা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রধান বাধা বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমস্যা রয়েছে মিয়ানমারে। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায় না, এটাই (বড়) সমস্যা।’
বুধবারের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মিয়ানমারের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনগণকে নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে সেখানে (মিয়ানমারে) প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সম্পৃক্ততা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সহায়তা চান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন