বাংলাদেশের শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের জন্য কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়া’র (সিআইসিএ) অংশীদারদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। এতে যদি সমাধান না হয়, তাহলে এই সংকট গোটা অঞ্চলে অস্থিতিশীল করে তুলবে। গতকাল শনিবার তাজাকিস্তানের রাজধানী দুশানবের নাভরুজ প্রাসাদে অনুষ্ঠিত (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে তিনি এ সহযোগিতা চান।
রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট বলেন, ভয়ঙ্কর গণহত্যা ও ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার রোহিঙ্গা জনগণের জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জাতিগত নিধন ও সীমাহীন মানবিক বিপর্যয়ের এই ভয়াবহ ঘটনা পাঠ্য বইয়ে নজির হিসেবে স্থান পেয়েছে।
এই অঞ্চলে বিভিন্ন ইস্যুতে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সহিংস চরমপন্থী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, জোরপূর্বক উদ্বস্তু অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম করার মতো অনেক গুরুতর সমস্যার মোকাবিলা করছি। এজন্য এসব ইস্যুও মোকাবিলায় সাড়া দিতে সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘অনিয়মিত অভিবাসন, মাদকপাচার, জাতিগত সংঘাত, বিচ্ছিন্নতাবাদ, অর্থনৈতিক সমস্যা ও দৃশ্যমান জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এশিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদারে বহুজাতিক সংস্থা সিআইসিএ গঠিত হয়েছে। এই জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন