বগুড়ার জেলা জজ আদালতে দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে এসে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় কারাগারে গেলেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী । বৃহষ্পতিবার দিনের প্রথম ভাগে তিনি বগুড়া জেলা জজ ও সিনিয়র ষ্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আল মাহমুদ, এ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি, এ্যাডভোকেট হেলালুর রহমান বিজ্ঞ বিচারকের কাছে জামিনের জন্য আবেদন জানালে বিচারক সরাসরি জামিনের আবেদন নাকোচ করে দেন।
জামিন না মঞ্জুর হওয়ার পর তাঁকে সরাসরি তাকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।
বগুড়া দুদকের আইনজীবী পিপি আবুল কালাম আজাদ মামলার বিবরণ দিয়ে জানান, বগুড়ার আদমদীঘী উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় বিজেসির নিয়ন্ত্রাধীন একটি ক্রয়কেন্দ্র সহ ২ একর ৩৮ শতক জমি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তৎকালীন পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বিনা টেন্ডারে তার পুর্বপরিচিতা বগুড়ার জাহানারা রশিদকে বিক্রির আদেশে স্বাক্ষর দেন। উল্লেখিত ক্রয়কেন্দ্র সহ বিক্রিত জমির ওই সময়ের বাজার মুল্য সরকারি এ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭শ’ ৯৫ টাকা হলেও তিনি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির আদেশ দেন । এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ।
তৎকালীন পাটমন্ত্রীর এই দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সংবাদ মিডিয়ায় আসার পর দুদক বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু করে । অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদকের বগুড়া শাখার এডি আমিনুল ইসলাম ১০ -১০-১৭ ইং তারিখে আদমদীঘী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ১৮-০২-১৯ তারিখে তিনি মামলাটির চার্জশিট সংশ্লিষ্ট দাখিল করেণ।
উল্লেখিত মামলায় জামিনের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি । আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠাবার আদেশ দেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন