কাপ্তাইয়ের শীলছড়িস্থ সীতার ঘাট এলাকার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় ধসে হাটু পরিমাণ মাটি জমে দুর্ভোগে পড়ে হাজারও মানুষ। বেকায়দায় পড়তে হয় শিক্ষার্থী, রোগী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ হাজার হাজার মানুষকে।
কিন্তু দুর্ভোগ লাঘবে এক যুগেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় ক্ষোপ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা। সড়কটির পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও করা হয়না পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ড্রেনের উপর মাটি ভরাট হয়ে সমান হয়ে যাওয়ায় হালকা বৃষ্টিতেই পাহাড় ধসে সরাসরি মাটি নেমে আসে সড়কে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হালকা বৃষ্টিতেই কাপ্তাইয়ের শীলছড়িস্থ সীঁতার ঘাট এলাকার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় ধসে হাটু পরিমাণ মাটি জমে যায়। ফলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক পরিবহন আটকে দুর্ভোগে পড়তে দেখা যায় দূরপাল্লার যাত্রী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কাপ্তাইয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকবাহী কয়েকটি বাসসহ হাজার খানেক নারী পুরুষকে।
এদিকে দুই ঘন্টার ব্যবধানেও কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের মাটি অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ এগিয়ে না আসায় চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাইয়ে বনভোজনে আসা বাসের প্রায় একশ যুবক নিজেদের হাত দিয়েই মাটি অপসারণ করে নিজেদের পরিবহনকে উদ্ধার করতে দেখা যায়। এই বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে মুঠো ফোনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রাম এস.ডি.ই শম্ভু সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় শুক্রবার সকালে সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাপ্তাই প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তাদের পর্যাপ্ত লোকবলের সঙ্কটের কথা। তবে শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধানে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, আমি ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মাহাবুব আলমের মাধ্যমে স্থানীয় কিছু শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিবো। পরবর্তীতে বিষয়টির স্থায়ী ব্যবস্থাকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখবো।
ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মো. মাহাবুব আলম জানান, দীর্ঘ এক যুগ এই সমস্যা চলমান রয়েছে। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু থাকলেও চোঁখে পড়েনা সড়ক বিভাগের ড্রেনগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম। ফলে প্রতি বর্ষায় এভাবেই সড়কে মাটি জমে অসহনীয় দুর্ভোগে স্থানীয়রা। কিন্তু এর স্থায়ী একটি সমাধান করা জরুরি।
মো. আনিছুল হক নামের এক যুবক বলেন, সরকার যেখানে উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সেখানে আমরা এখানে ঘুরতে এসে হঠাৎ করে এত কষ্টে পড়ে গেলাম কেন।
এদিকে পরবর্তীতে কাপ্তাই ইউএনওর নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাহাবুব আলমের তত্বাবধানে কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে সড়ক থেকে মাটি সড়াতে দেখা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন