বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ও আলীকদমের ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৪ জুন। এই ইউপি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্র দখলের আশংকা করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা এ দাবি জানান। তাদের দাবি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্ত করছে। জেএসএস’র নেতাকর্মীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দাবি করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়রে ইসলাম বেবী, কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রুসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, জেএসএস’র সন্ত্রাসীরা তাদের (আ’লীগ) প্রার্থীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ কুহালং ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেখানে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে সেনা মোতায়েনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেএসএস’র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বান্দরবান শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। জেলা কার্যালায় হতে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, মঙ্গলবার কুহালং ইউনিয়নের কিবুক পাড়া এলাকায় র্দুবৃত্তদের হাতে নিহত জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সহযোগী সংগঠন পার্বত্য যুব সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুনিল চাকমাকে আ’লীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দরা। অন্যদিকে, জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুনিল চাকমা তাদের কর্মী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আ’লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন