অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ স্বাস্থ্যখাতে বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ বেড়েছে। গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ৬২৩৪ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ১১ দশমিক ২৫২ টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ হয়েছিলো ১৪ দশমিক ৮১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ছিল ৯৬৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ছিল ৫১২১ কোটি টাকা। ১৩ হাজার ১২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। দরিদ্র গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে এর অতিরিক্ত আরো ২৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ক্রমে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের টেলিমেডিসিন সেবাকেন্দ্র এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির উল্লেখ করেন বলেন, পাইলট ভিত্তিতে ইতিমধ্যে সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনসাধারণ স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এ কর্মসূচি সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে চালু হবে। এর পাশাপাশি গরিব, দুস্থ ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার কর্মসূচি চালু থাকবে বলে জানান মুহিত।
স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এর ধারাবাহিকতায় নতুন সেক্টরের কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে ধারণাপত্র প্রণয়ন এবং কৌশলগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দেশীয় ওষুধ উৎপাদনে সরকারি সুযোগ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কিছুটা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে উৎপাদিত ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিও উঠেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন