বোরকা ও হিজাব পরিধানকারীদের প্রতি হয়রানিমুলক আচরণকে আচরণকে কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইতিপূর্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে সংঘটিত হয়রানিমূলক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশরাফুল কামালের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম ও মোহাম্মদপুর তাজ জামে মসজিদের খতিব আবুল খায়ের মুহম্মদ আজিজুল্লাহ বাদী হয়ে রিটটি করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আহাসান ও শেখ ওমর শরীফ। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিটে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বোরকা-হিজাব পরিধানে বাধা দেয়া হচ্ছে। হয়রানি করা হয়। হেয় প্রতিপন্ন করা করা হয়। এ প্রবণতা সংবিধানের ৪১, ৩১ ও ২৮ অনুচ্ছেদ পরিপন্থি। সংবিধান মানুষকে মত প্রকাশের স্বাধীনাত দিয়েছে। হিজাব ও বোরকা পরিধান করা নারীর অধিকার। অথচ এ অধিকারকে অস্বীকার করে কোনো কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং মহল নারী শিক্ষার্থীদের বিদ্রুপ করছে। কটুক্তি করছে। নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করছে। যা সংবিধানে দেয়া অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদালত সংবিধানের অভিভাবক। তাই আদালতের উচিৎ এ বিষয়ে নির্দেশনা ও প্রতীকার দেয়া। কারণ এই প্রবণতা চলতে দেয়া যায় না। শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেন।
আদালত থেকে বেরিরয়ে বাদী পক্ষের কৌঁসুলি শেখ ওমর শরীফ বলেন, বোরকা পরিহিত ছাত্রীরা বিভিন্নভাবে নিগৃহের শিকার হন। বিষয়টি আমরা আদালতের দৃষ্টিতে এনে প্রতীকার দাবি করেছি। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেন। এর আগে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়েছে বলেও জানান এ আইনজীবী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন