উত্তরার কসমো সিএনজি পাম্পের পেছনেই ভবনটি। সেক্টর-৭, রোড-৫, বাড়ি নম্বর-৭। অস্বচ্ছ থাইগ্লাসে আবদ্ধ ছোট ছোট খুপড়ি। ভেতরে প্লাস্টিকের চেয়ার। কয়েকটি টেবিল ঘিরে নারী-পুরুষের জটলা। চলছে চাপা স্বরে কথার ফিসফাস। মনে হতে পারে বুঝি রবি শস্যের আড়ৎ। মানুষ আসছে-যাচ্ছে। কারো হাতে পুঁটলি। কারো কাছে বগলদাবা করা কাটুন। কিন্তু না। তারা কোনো গৃহস্থ নন। ভিড়মি খেতে হয় তখনই যখন এসব পুঁটলি থেকে বেরিয়ে আসে অন্যকিছু। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্যই বটে। যেন এক ‘টাকার আড়ৎ’। বাইরে থেকে বোঝার জো নেই। সিসি ক্যামেরার নজরদারি গলে খানিকটা মাথা ঢোকালেই চোখে পড়ে ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেড’ সাইনবোর্ড। ভেতরটায় শুধুই টাকার খেলা। বস্তা বস্তা, কখনও বা মিনি ট্রাকে করে টাকা আসে এখানে।
হাউজিং ব্যবসার আড়ালে অভিনব পদ্ধতিতে চলছে এমএলএম প্রতারণা। বাইরে রিয়েল এস্টেট-ভেতরে অবৈধ এমএলএম। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি প্রকাশ্যেই চলছে এ প্রতারণা। স্ট্যাম্পে প্লট বিক্রির ভুয়া চুক্তিনামার বিপরীতে পাঁচ বছরে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৮শ’ কোটি টাকা।
সরকারদলীয় দু’জন ছাত্রনেতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের আশীর্বাদ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ওপর। রয়েছে সাবেক দু’জন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতাও। ‘করপোরেট কার্যক্রম’ চালাতে সামনে রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষাবাহিনীর কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ‘গ্রাহক’ শিকারে ব্যবহার করা হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডেসটিনি, ইউনি পে টু’র প্রশিক্ষিত প্রতারক এবং সুন্দরী রমণী। প্রতিবেদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে আসে এসব তথ্য। রিয়েল এস্টেটের আড়ালে এমএলএম : ডেসটিনি-২০০০ লি:, ইউনি পে টু’ গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর মাল্টি লেবেল মার্কেটিং (বহুস্তর বিপণন) বা এমএলএম বৈধতা পায়নি। কিন্তু রয়ে গেছে প্রতিষ্ঠান দুটিতে কাজ করা হাজার হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী। ডেসটিনির প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে অভিনব কৌশলে নবউদ্যোমে তারা শুরু করেছেন এমএলএম প্রতারণা। অপরাধমূলক কাজটির দাপ্তরিক বৈধতা দিতেই সংঘবদ্ধ চক্র হাউজিং কোম্পানির আশ্রয় নেয়।
চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন রংপুরের আক্তার হোসেন, চাঁদপুরের মিজানুর রহমান, ঢাকার মুগদার মো. আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী, মাদারিপুরের নার্গিস বেগম, সায়মা আক্তার, মাহমুদা আক্তার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আল আজহার আলীসহ ৪৪ জন। তারা ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেড’ নামে ট্রেড লাইসেন্স এবং জয়েন্ট স্টক থেকে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নেন। কথিত এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির না আছে বৈধতা, না আছে স্বীকৃতি।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তালিকায় ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেড’ নামক কোনো হাউজিং কোম্পানির অস্তিত্ব নেই। অথচ ঢাকার শেষপ্রান্তে আশুলিয়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি মৌজায় দেদারছে ‘বিক্রি’ করছে অস্তিত্বহীন প্লট। এ মৌজার জমি দেখিয়েই ‘যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি-যুবক’ এক দশক আগে সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় অন্তত: ১০ হাজার কোটি টাকা।
হাউজিংয়ের নামে ব্রাইট ফিউচার লি:’র এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার বলেন, রাজধানীর বাইরে কোনো আবাসন প্রকল্প করতে হলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে। ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লি: নামক কোনো কোম্পানি অনুমোদন নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে কোনো হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রির পরিবর্তে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দেয়ার প্রলোভনে আমানত সংগ্রহ করতে পারে না। এটি একটি অপরাধ।
যেভাবে হাতিয়ে নেয় অর্থ : অনুমোদন না থাকলেও দেদারসে চলছে প্লটের কাল্পনিক বেচা-কেনা। মূল বিষয় হচ্ছে-এমএলএমের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। এটিরই দাপ্তরিক বৈধতা দিতে ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেড’র সঙ্গে গ্রাহকের একটি ‘চুক্তি’ দেখানো হয়। কথিত চুক্তিতে প্লট বুকিংয়ের কথাই উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্রকল্পটি ভুয়া এবং কাল্পনিক হওয়ায় বাস্তবে কোনো প্লটই দেয়া হয় না। বিনিয়োগের ‘লভ্যাংশ’ হিসেবে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়। প্রথম ছিলো ২৪ মাসে দ্বিগুণ। অর্থাৎ ১ লাখ টাকায় দুই বছরে লাভ দেয়া হবে ২ লাখ টাকা। কখনো ৪৮ মাস, ৩০ মাস এবং কখনো ৪৮ মাসে দ্বিগুণ লাভ দেয়ার প্রলোভন দেয়া হচ্ছে।
এমএলএম সিন্ডিকেটের চটকদার কথাবার্তায় প্রলুব্ধ হয়ে সীমিত আয়ের মানুষ ব্রাইট ফিউচার লিমিটেড নামক এমএলএম কোম্পানিতে রাখছে টাকা। এ প্রক্রিয়ায় এমএলএম প্রতিষ্ঠানটি গত ৫ বছরে ১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৮শ’ কোটি টাকা। তবে এ অর্থ শুধু ‘উদ্যোক্তা’ ৪৪ জনের পকেটেই যায়নি। নিয়মিত ভাগ পাচ্ছেন প্রভাবশালী সাবেক দুই মন্ত্রী, সরকারদলীয় ছাত্র নেতা, পুলিশ প্রশাসন। বদৌলতে উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় টানা ৫ বছর ধরে বিনা-বিপত্তিতে চলছে অর্থ লোপাট। নি:স্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
পক্ষান্তরে দেশ-বিদেশে বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ‘এমএলএম’ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। ক’দিন আগেও সংসার চালাতে যাদের কষ্ট হতো তারা এখন চালাচ্ছে দামী গাড়ি। দেদারসে অর্থ হাতিয়ে নিতে শীর্ষ কর্মকর্তারা আড়ালে থেকে অর্থ সংগ্রহে ব্যবহার করেন স্বল্পশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী, সুন্দরী গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ, প্রকৌশলী, ব্যর্থ ব্যবসায়ী এবং আমলাদের। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কারো কাছে ধরা দেয় না ‘ব্রাইট ফিউচার লিমিটেড’ এমএলএম কোম্পানি।
পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকতার হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) আলাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকেই জানা যায় তাদের প্রকৃত কার্যক্রম সম্পর্কে। তাতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির আড়ালে এমএলএম পরিচালনা এবং শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার স্বীকারোক্তি রয়েছে।
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর বাড়িটি মূলত: প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট শাখা। ১ থেকে ১০ লাখ টাকার অর্থ সংগ্রহের জন্য এ ঠিকানা ব্যবহৃত হয়। অংক ১০ লাখ টাকা থেকে ১০ কোটি পর্যন্ত টাকার জন্য লগ্নিকারীকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি নং-১/এ, রোড-৬, সেক্টর-৩, উত্তরা কথিত ‘হেড অফিস’ এ। এটি মূলত: ভাড়া বাসা। ‘বড় লগ্নিকারী’র সঙ্গে এ বাড়িতে বৈঠক করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিগণ। তবে উত্তরা এলাকায়ই প্রতিষ্ঠান দুটির গোপন কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ে সারাদিন কর্তাব্যক্তিরা বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করেন। ‘ভালোপার্টি’র ঘ্রাণ পেলে একত্রিত হোন ‘হেড অফিস’ এ। হেড অফিসে সন্ধ্যার পর ব্যাগ ও বস্তা ভরে টাকা আসতে থাকে।
জড়িতদের স্বীকারোক্তি : কোম্পানির কোনো প্রোফাইল-প্রোফর্মা পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেড’ এ ১০ কোটি ‘কালো টাকা’ লগ্নির প্রস্তাব দিলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সায়মা আক্তার সম্মত হন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে এমএলএমটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যানসহ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দিতে। সে সময় জানা যায়, সারাদেশে ১২ হাজারের মতো কর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। প্রথমে তারা নিজেরা লগ্নি করেন, পরে দ্বিগুণ লাভের প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আসেন।
কথিত এ কর্মীবাহিনী মূলত: বন্ধ হয়ে যাওয়া ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড, ইউনি পে-টু ইউ, ফার্স্টওয়ে, খুলনার ‘নিউ বুসন্ধরা’র মতো এমএলএম কোম্পানি থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লি:কে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বলে দাবি করা হলেও এটির কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। কোনো সাইনবোর্ড নেই, বিজ্ঞাপন নেই, নেই কোনো ওয়েবসাইটও। কোনো প্লটও বিক্রি করা হয় না। একটি প্লটও হস্তান্তর করা হয়নি এ যাবত। মানুষকে শুধু অর্থলগ্নিতে প্রলুব্ধ করা হয়।
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য পরের গ্রাহকের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পূর্বের গ্রাহকের ‘প্রফিট’ পরিশোধ করা হচ্ছে। ক্রমাগত অর্থ আসতে থাকায় প্রফিট প্রদানেও কোনো গড়িমসি করে না। ফলে শুভংকরের ফাঁকিটা এখনো গ্রাহকের কাছে স্পষ্ট নয়। কিন্তু কোনো প্লটও বিক্রি না করে কিভাবে দ্বিগুণ প্রফিট দিচ্ছেন- এ প্রশ্ন করলেই আটকে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সে ক্ষেত্রে মুহূর্তের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম গুটিয়ে কর্মকর্তারা গা ঢাকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও রেকর্ডপত্রে তাদের ধরার মতো কিছু নেই। লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন ছাপানো মানি রিসিপ্টে। ব্যাংকে লেনদেন নামমাত্র। কিছুদিন ধরে স্ট্যাম্পে ভুয়া বুকিং চুক্তিনামা করা হচ্ছে।
পরিচালক সায়মা আক্তার জানান, একসময় রাজধানীর বনানীতে একটি এমএলএম কোম্পানিতে ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লি:-এর কর্মকর্তারা কাজ করতেন। সেটিও ছিলো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির আড়ালে এমএলএম। ওই কোম্পানি ১ লাখ টাকায় দ্বিগুণ লাভ দিতো। কোম্পানিটি বেশি ‘লাভজনক’ ছিলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে ব্রাইট ফিউচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তার হোসেনসহ ১৪ জন আলাদাভাবে এমএলএম ব্যবসা শুরু করেন ‘ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেড’ নাম দিয়ে। এটির চেয়ারম্যান করা হয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আল-আজহারকে।
ব্রাইট ফিউচারে বর্তমানে ৪৪ জন পরিচালক রয়েছেন। গত চার-পাঁচ বছরে ১২ হাজার লগ্নিকারীর কাছ থেকে ৮শ’ কোটি টাকার মতো ‘আমানত’ সংগ্রহ হয় তাদের। সাভারের শেষপ্রান্তে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি মৌজায় জমি কেনা হয়েছে ১শ’ বিঘার মতো। এ অর্থ কোথায় যায়, কি কাজে ব্যয় হয় এটি আখতার হোসেন, আলাউদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আল-আজহার আলী ছাড়া কেউ জানেন না। তবে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান (নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মিজানুর রহমান জানান, ডাচবাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংকসহ ৭/৮টি ব্যাংকে ব্রাইট ফিউচারের একাউন্ট রয়েছে। লেনদেন বেশি হয় ব্র্যাক ব্যাংকে। সোনালি ব্যাংক এবং রূপালি ব্যাংকেও একাউন্ট রয়েছে। এসবে কম-বেশি লেনদেন হয়। এসব একাউন্ট বেশিরভাগই ব্রাইট ফিউচারে পরিচালক এবং তাদের বিশ্বস্ত আত্মীয়-স্বজনদের। এসব লোক দেখানো।
কালোটাকা বিনিয়োগের সুবিধার কথা বলে অর্থ লেনদেনের দালিলিক কোনো প্রমাণই সৃষ্টি করে না এমএলএম কোম্পানিটি। কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে নগদে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং গণমাধ্যমকে ফাঁকি দিতেই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় না।
কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যে ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংসে আসে। এমএলএম কোম্পানিটির পরিচালক (প্রশাসন) আলাউদ্দিন আহমেদ। ইতিপূর্বে কয়েকটি এমএলএম কোম্পানিতে লগ্নি করে নি:স্ব হয়ে যান। কিন্তু ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লি:’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘বেশ ভালো’ আছেন বলে জানান। শ্যালকের নামে কেনা ৪০ লাখ টাকা দামের গাড়িটি নিজেই ড্রাইভ করেন। স্বীকারোক্তিতে আলাউদ্দিন বলেন, ‘এমএলএম করে আমি শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। এখন অনেক পরিশ্রমে এটি দাঁড় করিয়েছি।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোয়ার বখত বলেন, প্রতারণালব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং পাচার স্পষ্টতই মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় পড়ে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে এটি স্পষ্টতই মানি লন্ডারিং। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পেলে দুদক বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন