কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের পট পরিবর্তনের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে ২০১৪ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিবেদন, ২০১৫’-এ দক্ষিণ এশিয়া অংশে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বহুমাত্রিক সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিদেশি, সংখ্যালঘু, পুলিশ, ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার এবং প্রকাশকদের হত্যাকা-ের পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-কায়েদার নাম এসেছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সরকার দেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে বারবার। প্রতিটি হত্যাকা-ের পর সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ নেই এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা সন্ত্রাসবাদের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশগুলো হলোÑঅ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কোট ডি ভুয়া (আইভরি কোস্ট), ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডা।
‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিবেদন-২০১৫’ অনুযায়ী বিশ্বের দেশে দেশে অধিকাংশ প্রাণহানির জন্য জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস), আল-কায়েদা, বোকো হারাম ও তালেবান দায়ী।
বলা হয়েছে, ২০১২ সালের পর সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে। এর অন্যতম কারণ, ইরাক, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ায় হামলা ও নিহতের সংখ্যা উভয়েই কমেছে। সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৫টি দেশের তিনটিতেই এ অবস্থা বিরাজমান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার-টেরোরিজম বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক জাস্টিন সিবেরেল এসব বলেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সন্ত্রাসী হামলায় ২৮,৩০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৫,৩০০ জন। বিশ্বব্যাপী মোট হামলা হয়েছে ১১,৭৭৪টি। তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তমতে, ২০১৫ সালেও সন্ত্রাসবাদের হুমকি ব্যাপকভাবে বিবর্তিত হওয়া অব্যাহত রেখেছে। তবে এসব হুমকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন