কুমিল্লায় বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। গত এক মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে অন্তত ৩৭ জন। আর গত ছয় মাসে সব মিলিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে অন্তত ১৭০ জন। নির্যাতিতদের মধ্যে তিন বছরের শিশু থেকে ৫০ বছরের নারী আছেন। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের নিবন্ধন বই থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানুয়ারি মাসে ২১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ জন, মার্চে ২৬ জন, এপ্রিলে ২৭ জন, মে মাসে ৩২ জন ও জুন মাসে ৩৫ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কুমেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রতিদিনই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কারো না কারো পরীক্ষা করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় যারা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আসে তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের শিশু থেকে ৫০ বছরের নারীও রয়েছে। তবে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী নারীর সংখ্যা বেশি। তা ছাড়া গত ছয় মাসে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা, অপমৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় ৫৫০ জনের ময়নাতদন্ত ও ভিকটিম পরীক্ষা করেছি। গত ১৮১ দিনে হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, রেল দুর্ঘটনা, আত্মহত্যাসহ নানা কারণে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৩৭৪ জনের। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৭০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৯ জন, মার্চে ৪৯ জন, এপ্রিলে ৫৪ জন, মে মাসে ৭৩ জন ও জুনে ৭৯ জন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় নারী ও শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ২০১৪ সালে ২৪৫, ২০১৫ সালে ২৪৭, ২০১৬ সালে ২৬৭ ও ২০১৭ সালে ৩৩০।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন