শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা

প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের ইতিহাস খুব পুরনো নয়। আব্রাহাম লিঙ্কনের আগ পর্যন্ত কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকের হাহাকার ছিল মার্কিন ইতিহাসের চরম এক কালো অধ্যায়। তবে দিন তো অনেকখানিই বদলেছে। কালো সেই অধ্যায়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার অনন্য নিদর্শন রাখছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। সামাজিক দিক থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের এখনো ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হলেও শিক্ষার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা। মার্কিন শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মোটপ্রাপ্ত ডিগ্রিগুলোর মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা ৬৬ শতাংশ ব্যাচেলর ডিগ্রি, ৭১ শতাংশ মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ৬৫ শতাংশ ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।
কলেজে যাওয়ার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের। পূর্বের তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে এই হার। একই সময়ে শ্বেতাঙ্গদের কলেজ যাওয়ার হার অনেকটাই কমেছে। আগের ৮৪ শতাংশ থেকে নেমে এখন ৬০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাদের ক্ষেত্রে পড়াশোনার চিত্রটাই পাল্টে গেছে। শ্বেতাঙ্গ, এশীয়, হিস্পানিক পুরুষ বা নারী সবার মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন তারা।
পড়াশোনাতে এগিয়ে। তবে বৈষম্য আছে চাকরিতে। সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের অবস্থান একেবারেই সন্তোষজনক নয়। নারীরা অনেক সময়ই কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে পুরুষদের হেনস্থার শিকান হন। আর যদি তারা কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় বা হিস্পানিক হয়ে থাকেন, তবে তো কথাই নেই। বহুবার এ নিয়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ তেমন কিছুই হয়নি। বেসরকারি ক্ষেত্রে মাত্র ৮ শতাংশ পদে চাকরি পাচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা। এর মধ্যে মাত্র দেড় শতাংশই উচ্চপদে পৌঁছতে পারেন।
এক জরিপ অনুসারে, ২০১৪ সালে সাধারণ শ্রমিক বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিক নারীরা মিলে মাত্র ১৭ শতাংশ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বা ব্যবস্থাপক পদে এই হার কমে এসেছে ৪ শতাংশের নিচে। বড় সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে সংখ্যাটা কমে হচ্ছে ৩ শতাংশেরও কম। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন