বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রিজার্ভ চুরি সন্দেহের পরও অর্থ ছাড় করে নিউইয়র্ক ফেড

প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার ছাড় দিয়েছিল নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ। গত শুক্রবার ফেডারেল রিজার্ভ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এতথ্য জানিয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হিসাব থেকে হ্যাকাররা ৯০১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের ৩৫টি নির্দেশনা পাঠায়। এর জন্য আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটকে ব্যবহার করে তারা। তবে প্রাপক ব্যাংকের নামের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় এসব অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ফেডারেল রিজার্ভ।
ওই দিনই দ্বিতীয় দফায় ৩৫টি অনুরোধ পাঠায় হ্যাকাররা। এবার তারা অর্থ স্থানান্তরের এসব বার্তায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল এবং এগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে সুইফট ম্যাসেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে এরপরও প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে ৩০টি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ফেডারেল রিজার্ভ। বাকী পাঁচটি অনুরোধ ফেডারেল রিজার্ভ গ্রহণ করে এবং এগুলোর বিপরীতে ১০১ মিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে। বাকী ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকাভিত্তিক বেসরকারি সাহায্য সংস্থা শালিকা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা ও ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার সবকটি অনুরোধই নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ ছিল।
ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ওই সূত্রটি জানিয়েছে যে, চারটি অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ এসেছিল এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের প্রশ্ন উত্থাপন করা উচিৎ ছিল। এই চারটি অ্যাকাউন্টই ছিল ব্যক্তিগত। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ দুর্লভ। যে চারটি অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হয়েছে এগুলোর নাম যে ৩০টি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যেও ছিল।
তিনি বলেন, আমরা ফেডারেলের রিজার্ভের কাছে জানতে চেয়েছি বারবার একই নাম আসার পরও কেন সতর্ক সংকেত জারি করা হয়নি। তারা জানিয়েছে বাদ দেওয়া ৩৫টিতে ব্যাপক ভুল ছিল। তবে আবারও যখন ওই ৩৫টি অনুরোধ করা হয়েছিল তখন কেন ৫টি গ্রহণ করা হলো এবং ৩০টি প্রত্যাখ্যান করা হলো? এ ব্যাপারে তারা আমাদের কোনো উত্তর দেয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সুইফটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। তবে ফেডারেল রিজার্ভ জানিয়েছে, সুইফট ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধে কোনো সমস্যা ছিল না। তবে কেন তারা সতর্কবার্তা জারির বিষয়টি এড়িয়ে গেছে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি ফেডারেল রিজার্ভ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন