ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডের অংশে বিভিন্ন স্পটে নতুন করে কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের। এসব গর্তে পড়ে গাড়ি বিকল হওয়ার ঘটনাও ঘটে চলেছে প্রতিদিন। অনেক যানবাহন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনার কারণেও সৃষ্টি হচ্ছে নতুন করে যানজটের। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, এসব গর্তে পড়ে গাড়িগুলো সড়কেই বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে একদিকে যেমন মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে, তেমনিভাবে সড়কে গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলতে গিয়ে যানজটের শিকারও হচ্ছে যাত্রী সাধারণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌর সদরের বাসস্যান্ড, ফকিরহাট, ইদিলপুর, শেখপাড়া, বড়দারোগারহাট, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল, বারআউলিয়া, কুমিরা, ভাটিয়ারী, জোড়ামতল, বাড়বকুন্ড, শুকলালহাট, বাঁশবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন স্পটে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে যান চলাচল করছে অনেকটা ধীর গতিতে।
এছাড়া সড়কের গর্তগুলো পাশ কাটিয়ে চলার সময় রাস্তা থেকে খাদে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। শুধু তাই নয় সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক-লরি বের হলে মহাসড়কে অনেক সময় যানজটে পড়তে হয়।
ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সীতাকুন্ডে আসা যাত্রী মো. আমির অহমেদ বলেন, মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে যাত্রীরা দুর্ভোগে ও মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে বর্তমানে কিছু কিছু স্পটে ছোট বড় গর্তের সংস্কারের কাজ চললেও তা রাতভর একটানা বৃষ্টিতে এবং গাড়ির চাপে আবারও গর্তের সৃষ্টি হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
উপজেলার পৌর সদরের উত্তর বাইপাস ইদিলপুর এলাকায় ট্রাক চালক সুমন দাস বলেন, ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়েও পথে পথে অসংখ্য গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে আমাদের। কারণ সড়কে সৃষ্ট এসব গর্তে পড়ে যে কোনো সময় গাড়ি বিকল অথবা গাড়ি উল্টে যেতে পারে। তাই অনেক সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
এদিকে পৌরসদর ট্রাফিকের ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. আল আমিন বলেন, মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশের পৌরসদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ছোট চাকার কারসহ বিভিন্ন গাড়ি সড়কে উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। এছাড়া সড়কেই বিকল হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন যানবাহনও।
তিনি আরো বলেন, এখন যানবাহনের চাপ একটু বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্পটে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল করছে অনেকটা ধীর গতিতে। অনেক সময় এসকল গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকে অনেক যানবাহন।
এবিষয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আহমেদ বলেন, একটানা বৃষ্টির কারণে সড়কে কাজ করতে অনেকটা সমস্যা হচ্ছে। তবে গত রোববার থেকে কিছু কিছু স্থানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন