শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিশুর মস্তক নিয়ে মদপান : অবশেষে গণপিটুনিতে নিহত

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

নেত্রকোনা জেলা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শিশুর গলাকাটা মস্তক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ঘটনায় শিশু হত্যাকারী অজ্ঞাত যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবক বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথরপট্টিতে মদ পান করার পর মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে একটি শিশুর গলাকাটা মস্তক (মুন্ডু) মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা তা দেখে ফেলে। মুহূর্তে খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শত শত জনতা ওই যুবককে ধাওয়া করে নিউটাউন পঁচাপুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ পুকুর পাড় থেকে শিশুর গলাকাটা মস্তক এবং অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক মহলে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জনতা শিশুর গলাকাটা মস্তক এবং শিশু হত্যাকারীর লাশ দেখার জন্য পুকুর পাড়ে ভিড় জমায়। জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে গলদগর্ম হতে হয়।

ফেইসবুকে গলাকাটা শিশুর ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হলে খবর পেয়ে কাটলী এলাকার রিকশাচালক রইসউদ্দিন থানায় গিয়ে জানায়, গলাকাটা শিশুটি তার পুত্র সজিবের। তার বয়স ৮ বছর। বেলা ১১টার দিকে সজিব তার কাছে আইসক্রিম খাবার জন্য ৫ টাকা চায়। কিন্তু হাতে টাকা না থাকায় সময় সজিবকে আইসক্রিম খাওয়ার টাকা দিতে পারেনি।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে, তবে শিশু হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলায় শিশুটির দেহের বাকি অংশ কোথায় আছে এবং কী কারণে শিশুটিকে গলাকেটে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গণপিটুনিতে নিহত অজ্ঞাত ব্যাক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Rafiqul Islam Naim ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
এইটা সহজেই অনুমেয় কারা এর সাথে জড়িত এবং কারা এইসব কর্মকান্ডের নির্দেশদাতা। আসলে তাদেরকে এইভাবে কুকুরের মতো পিটিয়ে মারা দরকার। অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু জানের মায়ায় বলতে পারছি না। এই দেশ থেকে অন্য কোনো নিরাপদ দেশে যেতে পারলেই বাঁচি। আল্লাহর গজব পড়বে ঐসব জানোয়ারদের উপর। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
Total Reply(0)
Hossain Rana ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
পদ্মা সেতুর জন্য মাথা লাগবে এটা না হয় গুজব মানলাম কিন্তু সারাদেশে ছেলেধরা আর শিশুর মাথা কাটা হচ্ছে সেটাও কি গুজব। সরকার এর বিচার না করে এদের আইনের আওতায় না এনে উল্টো যারা সচেতনতা সৃষ্টি করছে তাদের গ্রেফতার করছে, ধিক্কার জানাই এই রাতের সরকারকে।
Total Reply(0)
Al Amin ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
ওই কল্লাকাটাকে আ‌গেই হত্যা করা ঠিক হয় নাই। ওর কাছ থে‌কে জানা প্র‌য়োজন ছিল ঐ কল্লা ওরা কোথায় কি ক‌রে? তারপর ধোলাই দেওয়া লাগত। রহস্য থে‌কেই গেল
Total Reply(0)
Md Orid ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
সভ্য মানুষ গুলাই অসভ্য হয়ে পরে যখন দেশে বিচার না থাকে। যখন দেশে বিচার নেই তখন আইন নিজের হাতেই উঠে যায়। #ফেক্ট নেত্রকোনা।
Total Reply(0)
Alamgir Hossain ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
এভাবে হত্যা না করে। আগে ওর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া খুব দরকার ছিল। তাতে অনেক কিছু বেরিয়ে আসতো
Total Reply(0)
সাইদ বিন ফরিদপুরী ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
সরকার কিছুদিন ধরে সাধারন লোককে গুজব ছড়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করলো। এখন তাদের কাছে জানতে চাই এই শিশুটি কি তারা ওর মা, বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবেন। আপনারা হলেন ব্যার্থ দেশসেবক
Total Reply(0)
Rinqu Costa ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
ঐ যুবককে নির্মমভাবে না মেরে, পুলিশে দিলে সত্য তথ্য বের হয়ে আসত.. অনেক সময় পারিবারিক কলহ বা অপহরন বা অবৈধ সম্পর্কের কারনে এমন হত্যাকান্ড ঘটে..
Total Reply(0)
KaLponik Amit ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
সেখানকার জনগন বলদের পরিচয় দিয়েছে, তারা অপরাধীর কাছ থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ না করেই তাকে মেরে ফেলেছে। সুতরাং সেখানে যারা যারা উপস্থিত ছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যারা অপরাধীকে হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতাভুক্ত করা উচিত। যাতে আর কোনদিন কোন অপরাধীকে তথ্য না নিয়ে কেউ হত্যা করার সাহস না পাই।
Total Reply(0)
Megher Pore Megh ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
ওর কাছে থেকে সব তত্ব আগে নিয়ে তারপর যা করার করতো। তাহলে এই চক্রের সাথে আরও কারা জড়িত তা বের করা সহজ হত। হুজুগে বাঙালি আগেই হত্যা করে বসে আছে, এখন তত্ত্ব দিবে কে ?
Total Reply(0)
Mirja Jewel ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
আমার বাড়ি নেত্রকোণা.. আমি যা শুনেছি তা হল গণপিটুনিতে যে নিহত হয়েছে সে ছিল একজন রিক্সাচালক ও ড্যান্ডিখোর, ভিকটিম গলাকাটা বাচ্চাটার বাবাও একজন রিক্সা চালক। এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বও ছিল। যে কোন কারনে (হয়ত পূর্ব শত্রুতা) ড্যান্ডিখোর লোকটা বাচ্চাটাকে মেরে ফেলেছে। এটা ছেলেধরার ঘটনা মনে হয় না।
Total Reply(0)
Abdul Kaium ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
ঘটনা সত্যি হলে তাৎক্ষনিকভাবে তাকে মেরে না পেলে , কার কিজন্য কোথায় নিতে চেয়েছিলো, কে অর্ডার দিয়েছিলো এইসব তথ্য বের করে তারপর নির্যাতন করতে করতে হত্যা করা উচিত ছিলো। এখনত মুল রহস্য ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে গেলো.. লাভ কি হলো।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন