নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে নেত্রকোনার অভ্যন্তরীণ সকল সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে এবং রিক্সায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে। এ সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, গতকাল সকালে নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ সড়কের কান্দুলিয়া নামক স্থানে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জেলার অভ্যন্তরীণ সকল সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাস চলাচল বন্ধ করেই শ্রমিকরা থেমে থাকেনি। শ্রমিকরা লাটিসোটা নিয়ে দিন ভর জেলার বিভিন্ন স্থানে চলাচলরত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা (ইজিবাইক)ভাংচুর করে। এরপর থেকে বাস ট্রাকের পাশাপাশি সিএনজি ও অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা মোটরযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সপ্তাহ খানেক আগে মোহনগঞ্জের বিরামপুর বাসস্ট্যান্ডে ইজিবাইক ও সিএনজি চালকরা বাস শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। হামলাকারীদের শাস্তি ও বহিরাগত সিএনজি, নসিমন, করিমনসহ ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা শহরের সাথে উপজেলা শহরের যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়কে সকল প্রকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবীতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। এ দাবী না মানা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলবে।
এদিকে সিএনজি ও ইজিবাইক চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা জেলার অভ্যন্তরীন সড়কে সিএনজি, ইজিবাইক বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও হয়রানীর কারণে যাত্রী সাধারণ সিএনজিতে চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রয়োজনে আমরাও পাল্টা ধর্মঘটের ডাক দেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন